312625

৯ বছর বয়সেই কোরআন মুখস্থ করল আমেরিকায় বেড়ে ওঠা মারইয়াম

আমেরিকার ভিন্ন সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠলেও পুরো কোরআন মুখস্থ করে কৃতিত্বের সাক্ষর রেখেছেন মারইয়াম মাসুদ। নয় বছর বয়সেই তিনি পুরো কোরআন মুখস্থ করেন। পুরো কোরআন মুখস্থ করতে তার সময় লেগেছে দুই বছর।

মারইয়ামের মা শালিকা ইমরোজ জানান, জন্মের আগে আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে জানতে পারেন তার গর্ভের সন্তান মারাত্মক ব্যাধি ‘ডাউন সিনড্রোম’ নিয়ে জন্মাবে। আল্লাহর অশেষ রহমতে মারইয়ামের জন্মের পর ডাক্তারদের সে আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত হয়। তিনি নিয়ত করেছিলেন মারইয়ামকে তিনি পবিত্র কোরআনের হাফেজ বানাবেন। আল্লাহ তায়ালা তার সে নিয়তকে পূর্ণতা দান করেছেন। জন্মের পর তাকে দান করেছেন পরিপূর্ণ সুস্থতা। আর সেই মারইয়ামই হয়ে উঠেছেন এক ক্ষুদে হাফেজ।

মারইয়াম এখন আমেরিকায় গাইড ইউএস টিভিতে ‘কোরআন উইথ মারইয়াম’ শীর্ষক শিশুদের একটি অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে। মারইয়ামের ভেরিফায়েড ফেসবুক ও ইউটিউব মিলে সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ১৫ লাখেরও বেশি। অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় মারইয়াম প্রথম স্থান অর্জনসহ পুরস্কার লাভ করেন।

মারইয়াম ‘ইন্টারফেইথ হিউম্যানেটারিয়ান’ কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কিছুদিন আগে ইন্টারফেইথ ইভেন্টে অতিথি বক্তা হিসেবে অংশ নেয় মারইয়াম। সেখানে সিনেটর বব মেনেনডেজ ও কংগ্রেসম্যান ফ্রাঙ্ক পেলোনসহ বহু প্রভাবশালী ও বিখ্যাত মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া শিশু মারইয়াম অস্ট্রেলিয়ার টেলিভিশন চ্যানেল ওয়ানফোরকিডস এবং মালয়েশিয়ান চ্যানেলে ‘ওমর’ ও ‘হানা শো’তে কাজ করে। বিশ্বজুড়ে পিতৃমাতৃহীন শিশুদের নিয়ে কাজ করা সংস্থা ইসলামিক রিলিফ ইউএসএর সম্মানিত দূতও সে।

ভবিষ্যতে ইসলামিক স্কলার হতে চায় মারইয়াম। যাতে আগামী প্রজন্মকে পবিত্র কোরআন পড়তে ও তার বাণীর সৌন্দর্য অনুধাবন করাতে পারে নে। বাংলাদেশে কিংবা আমেরিকায় যারা বাঙালি আছেন, তাদের মধ্যে মেয়েদের কোরআনে হাফেজ হওয়ার সংখ্যা খুবই কম। মারইয়াম মাসুদ প্রবাসীদের জন্য অনুপ্রেরণা।

ad

পাঠকের মতামত