311930

অনুশোচনায় পুড়ছেন মিয়া খলিফা, শোনালেন অতীত জীবনের করুণ গল্প

মিয়া খলিফা, বিশ্বজুড়ে তার পরিচিতি পর্ন তারকা হিসেবে। নীল ছবিতে নাম লিখিয়ে রাতারাতি তারকা খ্যাতি পেয়েছিলেন এই লেবানিজ বংশোদ্ভূত তরুণী।

মাত্র ২১ বছর বয়সে ২০১৪ সালে তিনি পর্ন জগতে নাম লেখান। মাত্র তিন মাসের ক্যারিয়ারেই পর্নহাব ওয়েবসাইট তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করে নেন মিয়া খলিফা।

সম্প্রতি ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির মুখোমুখি হন তিনি। বিবিসির ‘হার্ডটক’ এ অনুষ্ঠানে নিজের অভিজ্ঞতার অনেক করুণ গল্প শোনান মিয়া খলিফা।

তিনি বলেন, অল্প বয়সে অনেক টাকা রোজগার, অজানা রঙিন জগতে হারিয়ে যাওয়ার হাতছানি থেকেই এই পেশায় যান তিনি। অথচ মোহভঙ্গ হয় মাত্র তিন মাসেই। সম্মান ও সময়ের বিনিময়ে সেভাবে টাকাও রোজগার করতে পারেননি মিয়া।

২০১৫ সালে তিন মাস কাজ করার পরই এই পর্নো ছবির জগৎ থেকে বেরিয়ে এসেছেন। অথচ হারানো সম্মান ফিরে পাননি তিনি। পর্ন জগতের নীল আলো থেকে বেরিয়ে আজও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি মিয়া।

তার ব্যক্তিগত জীবনটা তছনছ হয়ে গেছে। ‘আজও রাস্তাঘাটে লোকজনের মাঝে নিজেকে নিয়ে ভীষণ হীনমন্যতায় ভুগি আমি’- এভাবেই বললেন আবেগপ্রবণ মিয়া।

তিনি বলেন, নীল ছবির জগৎ থেকে বের হওয়াটা সহজ নয় কখনোই। এই ইন্ডাস্ট্রিতে ঢোকার পর একের পর এক পাকচক্রে জড়িয়ে পড়েন অল্প বয়সী মেয়েরা। পর্ন ইন্ডাস্ট্রির ব্ল্যাকহোল টেনে নেয় অল্প বয়সী মেয়েদের। নারী পাচারকারীদের মাধ্যমেও কীভাবে ছোট ছোট মেয়েরা পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে আসতে বাধ্য হয়, সে বিষয়েও জানিয়েছেন মিয়া।

তিনি বলেন, ‘বহু মেয়ে অপরিণত মনে, ভুল সিদ্ধান্ত ও কিছু মানুষের পাল্লায় পড়ে নিজের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। আমায় এ ধরনের অনেক মেয়েই মেইল করে সেকথা জানিয়েছে। সেগুলো ভয়াবহ।’

মিয়ার কথায়, পর্ন ইন্ডাস্ট্রির আসল রূপ বুঝতে পেরেই কোনও মতে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।

মিয়া জানান, তার পর্ন ছবি করার কথা জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গেই তাকে তার বাবা-মা ও পরিবারের লোকজন ত্যাগ করেছেন। পর্ন ছেড়ে দেওয়ার পরও আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি তাদের সঙ্গে। তবে সময়ের সঙ্গে ক্ষত কমে যাবে সেই বিশ্বাস বুকে ধরে আছেন তিনি।

ad

পাঠকের মতামত