310664

আদালতে তিন স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের বর্ণনা দিল দুই ধর্ষক

জেলা প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের সাতকোয়া পাহাড়ি বন এলাকায় তিন স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার তিন আসামিকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে টাঙ্গাইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় দুই ধর্ষক। তারা হলো বাবুল (৩০) ও ইউসুফ (৩৫)। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সুমন কুমার কর্মকার ও আরিফুল ইসলাম তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

এদিকে গণধর্ষণের শিকার তিন স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষায় গণধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তাদের ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতে নেয়া হয়েছে।

আসামিদের জবানবন্দি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে টাঙ্গাইল জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এস আকবর খান বলেন, ইউসুফ ও বাবু তাদের সহযোগীদের নিয়ে তিন স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। জবানবন্দির পর তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়।

ঘাটাইল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার তিন আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত এ ঘটনায় জড়িত সব ধর্ষক গ্রেফতার হবে। তিন ছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনায় সোমবার এক ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ডাক্তারি পরীক্ষায় গণধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের জন্য তিন ছাত্রীকে আদালতে নেয়া হয়েছে।

রোববার উপজেলার এসই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের দোয়া ও বিদায় অনুষ্ঠান ছিল। ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির চার ছাত্রী বিদ্যালয়ে এসে ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে মোতাবেক দুপুর দেড়টায় তারা ঝড়কা এলাকায় যায়। সেখানে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বন্ধু হৃদয় ও শাহীন।

পরে তারা আশিক নামের এক ব্যক্তির ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে সাতকুয়া এলাকায় সেনাবাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জের উত্তর-পশ্চিম দিকে ঘুরতে যায়। এ সময় ৫-৭ ব্যক্তি তাদের ঘিরে ফেলে এবং হৃদয়, শাহীন ও আশিককে মারধর করে তিন ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে। এ সময় আরেক ছাত্রী দেখতে ধর্ষকদের এক ভাগনির মতো হওয়ায় ধর্ষণ করেনি তারা। দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ওই তিন ছাত্রীকে আটকে রেখে গণধর্ষণ করা হয়।

পরে ওই চার ছাত্রী সেখানে তাদের একজনের নানির বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে মোবাইল ফোনে অভিভাবকদের বিষয়টি জানানো হয়। অভিভাবকরা থানা পুলিশকে জানালে তারা চার স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে।

ad

পাঠকের মতামত