307803

মুসলমানরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে মোদির মসনদ তছনছ হয়ে যাবে : আল্লামা শফী

ভারত সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোতে অমুসলিম সংখ্যালঘুরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছে বলে দাবি করে আসছে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের যারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য আইন পাশ করেছে। এ আইন মূলত মুসলমানদের একঘরে করে ভারতকে ‘হিন্দুকরণ’ করার ঘৃণ্য প্রয়াস।

বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ও দারুল উলূম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে আল্লামা আহমদ শফী বলেন, মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুসলমানদের উপর যেভাবে জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে তা রাষ্ট্রীয় নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। তাদের সরকারের বিরুদ্ধে মুসলমানদের পাশাপাশি যেভাবে সাধারণ জনগণ ফুঁসে উঠেছেন তা চরম অনাস্থা ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।

তিনি বলেন, ভারতের মুসলমান প্রচণ্ড ধৈর্যশীল। তবে এ কথা ভুলে গেলে চলবে না, মুসলমানরা ধৈর্যশীল তবে ভীরু নয়। মুসলমানরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে মোদির মসনদ তছনছ হয়ে যাবে।

হেফাজত আমির আরও বলেন, ভারতের দীর্ঘ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অবদানে মুসলমানদের নাম মিশে আছে। ভারতের ঐতিহাসিক প্রায় সব স্থাপত্য মুসলমানদের তৈরি। চাইলেই এ সব মুছে দেয়া যায় না। ভারতীয় মুসলমানদের কাছে পুরো বিশ্ব ঋণী।

তিনি বলেন, বিজেপিসহ কট্টরপন্থী হিন্দু সংগঠনগুলো মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর ধারাবাহিক যে নির্যাতন-নিপীড়ন চালাচ্ছে তা করে ভারতকে মুসলিমশূন্য করা যাবে না। বরং এ সব নির্যাতন-নিপীড়ন মোদি ও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর পতন ডেকে আনবে।

আল্লামা আহমদ শফী আরও বলেন, কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতা গ্রহণ করার পর থেকে ভারতীয় মুসলমানগণ চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছে। ভারতকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সাম্প্রদায়িক সহবস্থানের দেশ দাবি করলেও শুধু মুসলিম হওয়ার অপরাধে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে।

কাশ্মীরের মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে, মা-বোনকে ধর্ষণ করা হচ্ছে। মোদি সরকারের এ কথা জেনে রাখা উচিত, জুলুম-নির্যাতন করে মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করা যাবে না।

হেফাজত আমির আরও বলেন, ইসলাম সব সময় মানবাধিকারের কথা বলে। শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার কথা বলে। অমুসলিম সম্প্রদায়কে নিরাপত্তাদানের কথা বলে। আর বাংলাদেশি মুসলমানগণ বারবার তা প্রমাণ করে দেখিয়েছে। মানবপ্রাচীর তৈরি করে মন্দির পাহারা দেয়ার নজির আমরা দেখিয়েছি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে বসবাস করে আসছে।

ad

পাঠকের মতামত