307815

গুলশানে টিয়া পাখি দিয়ে ভাগ্য জানলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত

শহুরে যান্ত্রিক জীবন মানুষকে অনেকটাই নিঃসঙ্গ করে তুলেছে। প্রতিবেশী শব্দটা মানুষ একরকম ভুলতে বসেছে। প্রতিবেশীদের মধ্যে সংযোগকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলতে রাজধানীর গুলশানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘পাড়া উৎসব’।

আজ শুক্রবার সকালে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার।

আয়োজনের মধ্যে থাকা টিয়া পাখি দিয়ে ভাগ্য গণনা করার স্টলের পাশে গিয়ে আগ্রহ সহকারে বিষয়টি জানতে চান রবার্ট মিলার। এ সময় পাশে থাকা মেয়র আতিকুল ইসলাম বিষয়টি সম্পর্কে তাকে বুঝিয়ে বলেন। এতে রবার্ট মিলারের আগ্রহ আরও বেড়ে যায়। এ সময় খামে মোড়ানো ভাগ্য লেখা একটি কাগজ তার হাতে তুলে দেয় টিয়া পাখি। ভাগ্য গণনাকারী তখন কাগজটিতে কী লেখা আছে তা পড়ে শোনান।

পাশাপাশি আয়োজকদের একজন তা অনুবাদ করে রবার্ট মিলারকে শোনান। সেখানে লেখা ছিল, ‘এটা যার নামে উঠবে তিনি জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি লাভ করবেন। জীবনে উন্নতি ঘটবে…।’ এমন কথা শুনে সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মিলার।

এরপর দেশীয় পিঠা খান যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত। এ সময় একজন তাকে দুটি ম্যাজিক দেখান। ম্যাজিক দেখে তিনি খুব আগ্রহী হলে ম্যাজিশিয়ান রাবারের একটি ম্যাজিকের কৌশল তাকে শিখিয়ে দেন। এ সময় তিনি আনন্দ প্রকাশ করে ধন্যবাদ জানান।

এরপর তিনি অনুষ্ঠানস্থলে মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে ক্যারাম ও দাবা খেলেন। পাশাপাশি বাংলার ঐতিহ্য বহনকারী গানের তালে তালে বায়স্কোপও দেখেন। পরে তিনি পুরো উৎসবস্থল ঘুরে দেখেন মেয়রের সঙ্গে।

পাড়া উৎসবের আয়োজকরা জানান, শহুরে জীবন মানুষকে এক ধরনের বিচ্ছিন্নতাবোধের দিকে ঠেলে দিয়েছে। যেখানে প্রতিবেশীদের নিজেদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ নেই, যেখানে একই এলাকার ভেতরে এক প্রতিবেশীর কাছে অপর প্রতিবেশীকে আগন্তুক বলে মনে হয়, যা সামাজিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ‘প্রতিবেশী কমিউনিটি’কে দুর্বল করে ফেলছে।

এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি অনুধাবন করে অলাভজনক সংস্থা ‘হিরোজ ফর অল’- এর যৌথ অংশীদারিত্বে গুলশান সোসাইটি ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) প্রথমবারের মতো এ উৎসবের আয়োজন করেছে। গুলশান ২ নম্বরের ৬২ নম্বর রোডে এই পাড়া উৎসবের আয়োজন করা হয়।

ad

পাঠকের মতামত