307714

ভারতের বিভিন্ন স্থানে ১৪৪ ধারা জারি, ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ আটক

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল দিল্লির লালকেল্লা এলাকাসহ বেশি কিছু এলাকা।

প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতেও। সেখানে কারফিউ জারি করেও বিক্ষোভ ঠেকাতে পারেনি কর্নাটক সরকার। সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে আটক করা হয়েছে ভারতের বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহকেও।

১৪৪ ধারা চলছে দিল্লির বেশ কয়েকটি জায়গায়। তার মধ্যে লালকেল্লা চত্বরও রয়েছে। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জড়ো হতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। আগে থেকেই সেখানে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল।

বিক্ষোভকারীরা লালকেল্লার সামনে জমায়েত হতেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। বেশ কয়েক জনকে আটক করেছে পুলিশ।

এ দিনের এই বিক্ষোভেই শামিল হয়েছিলেন স্বরাজ ইন্ডিয়া-র সর্বভারতীয় সভাপতি যোগেন্দ্র যাদব। পুলিশ তাকেও আটক করে বলে জানা গিয়েছে। দিল্লির মান্ডি হাউস চত্বরেও পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে র‌্যাফ নামানো হয়।

এখান থেকেও বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে দিল্লিতে এ দিন ১৬টি মেট্রো স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই মেট্রো স্টেশনগুলোর মধ্যে রয়েছে, লাল কিলা, জামা মসজিদ, চাঁদনি চক, বিশ্ববিদ্যালয়, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, জাসোলা বিহার, শাহিন বাগ এবং মুনিরকা।

এদিকে, সিএএ-র প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে কর্নাটক রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরুও। যদিও বিক্ষোভ ঠেকাতে বুধবার রাতেই সেখানে জারি করা হয়েছে কারফিউ বা ১৪৪ ধারা। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে টাউন হলের সামনে কারফিউ ভেঙে বিক্ষোভ করতে থাকেন বহু মানুষ।

এই বিক্ষোভ মিছিলে সামিল হয়েছিলেন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ রামচন্দ্রগুহ। টাউন হলের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই রামচন্দ্র গুহ-সহ বেশ কিছু বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ।

এ নিয়ে রামচন্দ্র স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সংবিধান নিয়ে এক সাংবাদমাধ্যমে কথা বলার সময় আমাকে আটক করে পুলিশ। আমার হাতে গান্ধীজির একটা প্ল্যাকার্ড ছিল।’
এ নিয়ে তার অভিযোগ ‘দেশে স্বৈরতন্ত্র চলছে। যে কারণে শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা দিয়ে আমাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশেই পুলিশ এমন কাজ করছে।’

ad

পাঠকের মতামত