307785

তোমরা কী বিদায়ী ভাষণ দিচ্ছো? নেতাদের শেখ হাসিনা

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন সামনে রেখে কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমা চেয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। এর জবাবে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, তোমরা কী বিদায়ী ভাষণ দিচ্ছো?

গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির এক সভায় এমনটি ঘটেছে বলে একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের ঐ বৈঠকে মৎস্যজীবী লীগ ও মহিলা শ্রমিক লীগকে দলের সহযোগী সংগঠনের মর্যাদা প্রদানের বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া সম্মেলন উপলক্ষে ১১ উপকমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবরা তাঁদের প্রস্তুতির বিষয়ে বৈঠকে দীর্ঘ বক্তৃতা করেন। তাঁরা সম্মেলনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে বৈঠকে অবহিত করেন। এর বাইরে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ সরকারের উন্নয়ন, রোহিঙ্গা প্রসঙ্গসহ সাংগঠনিক বিষয়ে বক্তব্য দেন।

তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রসিকতা করে তাঁকে (হানিফকে) বলেন, ‘তোমার নম্বর কাটা গেল। এটা কি বিদায়ী ভাষণ?’ দীর্ঘ বক্তৃতা দেয়ায় নেতাদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, তোমরা কী বিদায়ী ভাষণ দিচ্ছো? তাহলে আজকেই বিদায় নিয়ে নাও।

এ সময় নেতাদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, দলের জন্য যে যে কাজ করেছে, তার বিনিময়ও তারা পেয়েছে। আমি সবাইকে দিয়েছি, কাউকে বঞ্চিত করিনি। তাই কোনো নেতার কাছে আমি দায়বদ্ধ নই। এখন প্রত্যেকেই কর্ম অনুযায়ী তার ফল পাবে।

বৈঠকের শেষ দিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নানা বিষয় তুলে ধরে পাঁচ মিনিটের মতো কথা বলেন দলীয় সভাপতি শেখ হানিসা। এছাড়া দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

এ সভায় বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক পদ বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এখন থেকে আর সহ-সম্পাদক পদ না রেখে প্রতিটি সম্পাদকীয় কমিটিতে একজন চেয়ারম্যান, একজন সদস্য সচিব ও পাঁচজন করে সদস্য রাখা হবে। এ ক্ষেত্রে দলীয় সভাপতির অনুমতিও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এছাড়া সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সংখ্যা ৪১ থেকে বাড়িয়ে ৫১ জন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আর সাংগঠনিক সম্পাদক পদে একজন নারীকে অন্তর্ভুক্ত করার কথাও জানান শেখ হাসিনা।

কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সভাটি আগামী শুক্রবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। ওইদিন কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করার মধ্য দিয়ে বর্তমান কমিটির মেয়াদকাল শেষ হবে।

ad

পাঠকের মতামত