307545

আমি সবাইকে ক্ষমা করি, কিন্তু বিজেপির দালালদের ক্ষমা করি না: মমতা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, ‘বাংলা দখল করার প্ল্যান ভেস্তে দেব। সবাই রাষ্ট্রপতিকে চিঠি পাঠান। আমি সবাইকে ক্ষমা করি। কিন্তু বিজেপির দালালদের ক্ষমা করি না। আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। আমরা ধর্মের ভিত্তিতে ভাগাভাগি মানি না। ধর্ম যার যার আপনার, সংবিধান সবার।’

তিনি বলেন, আমি বাংলায় আছি। আমার লাশের ওপর দিয়ে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি) ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএবি) করতে হবে।মমতা আরও বলেন, সিএবি প্রত্যাহার করতে হবে। যতক্ষণ না সিএবি প্রত্যাহার করা হবে, ততক্ষণ আমরা রাস্তায় থাকব।সোমবার কলকাতার রেড রোডে বিক্ষোভকালে এসব কথা বলেন মমতা।

এদিন শতাধিক নেতা ও হাজার হাজার কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ভারতের নতুন বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন তৃণমূল নেত্রী।

দৈনিক আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর (এনআরসি) বিরোধিতা করে মমতার নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস মিছিল করেছে।
মিছিলটি রেড রোডের আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় জোড়াসাঁকোতে গিয়ে।

জোড়াসাঁকো পৌঁছে মঞ্চে ওঠেন মমতা। সেখানে তিনি বলেন, ‘জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িকে সাক্ষী রেখে কয়েকটা কথা বলতে এসেছি। যখন বঙ্গভঙ্গ হয়েছিল, তখন হিন্দু-মুসলিমের হাতে রাখি পরিয়ে ‘বাংলার মাটি-বাংলার জল’ গান গেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ।’

মমতা বলেন, ‘হঠাৎ আজ কী হল? বিজেপি ক্ষমতায় এসে নিজেদের আকাশের চেয়েও বড় ভাবছে। হিন্দুস্তান হামারা হ্যায়। অগর সব কা সাথ নেহি রহেগা, তো সব কা বিকাশ ক্যায়সে হোগা?’

‘আপনারা ভোট দেন না? ভোটার তালিকায় আপনার নাম নেই? আপনার ছেলেমেয়ে স্কুলে পড়ে না? আমরা সবাই নাগরিক। আপনি আবার কিসের নাগরিকত্ব দেবেন?’

জোড়াসাঁকোর মঞ্চে মমতা বলেন, ‘আমরা হিংসা সমর্থন করি না। আমার কাছে প্রমাণ আছে, আপনাদের-আমাদেরই কেউ কেউ বিজেপির টাকা খেয়ে এদিক-সেদিক আগুন জ্বালাচ্ছে।’

‘কেউ দয়া করে ট্রেনে আগুন জ্বালাবেন না। অধিকাংশ ট্রেন ভারত সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। তাতে সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে। বার বার বলছি, ট্রেনে আগুন দেবেন না। পোস্ট অফিসে আগুন দেবেন না। রাস্তায় আগুন দেবেন না। যারা আপনার পক্ষে রয়েছেন, তাদের সমস্যা ফেলছেন কেন?’

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকারকে ফেলে দেবে? ফেলে দিন। এই ইস্যুতে আমরা যে লড়াই করছি, তা থামবে না আর। আমাকে জিজ্ঞেস করছে সিআইএসএফ লাগবে? সিআরপিএফ লাগবে? বিএসএফ লাগবে? আমি বলছি, লাগবে না। আমাদের পুলিশই যথেষ্ট। আমাদের সাধারণ মানুষ পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করে সব ঠিক করে নেবে।’

ad

পাঠকের মতামত