306721

টাঙ্গাইলে নিষ্ঠুর প্রেমিকার ছোড়া অ্যাসিডে ঝলসে গেল প্রেমিক

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অ্যাসিডে প্রেমিকসহ চারজনের শরীর ঝলসে দিয়েছেন নিষ্ঠুর এক প্রেমিকা। শনিবার বিকেলে উপজেলার বল্লা করোনেশন হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে রাস্তার পাশে এই ঘটনা ঘটে।আহত প্রেমিক সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের সুনীল মণ্ডলের ছেলে সুজন মণ্ডল। তার বয়স ৫০ বছর।

অ্যাসিড নিক্ষেপকারী প্রেমিকা আলেয়া বেগম সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার গোপালপুর বটতলা গ্রামের মোজাম মিয়ার মেয়ে। তার বয়স ৪৫ বছর। তাকে অ্যাসিড সরবরাহকারী লুৎফর কালিহাতী উপজেলার সিংগাইর দক্ষিণপাড়া গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে।

অ্যাসিড নিক্ষেপে আহত অন্যরা হলেন, সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার গোপালপুর বটতলা গ্রামের জলিল মিয়ার ছেলে জহিরুল ইসলাম, সামাদ শেখের ছেলে আহাম্মদ আলী ও টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বল্লা গ্রামের খালেক মিয়ার ছেলে খোরশেদ।

এ ঘটনায় সুজন মণ্ডলের স্ত্রী শান্তা মণ্ডল বাদী হয়ে শনিবার রাতেই কালিহাতী থানায় মামলা করেন।এ ঘটনায় প্রেমিকা আলেয়া বেগম ও লুৎফরকে গ্রেফতার করে রোববার দুপুরে জেলা হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার বল্লা করোনেশন হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকার তাঁত পল্লীতে সুজন মণ্ডল দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে। একই কারখানায় আলেয়া বেগমও বাবুর্চি হিসেবে কাজ করতো। কাজ করার সুবাধে সুজন মণ্ডল ও আলেয়া বেগমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

এক পর্যায় আলেয়া বেগম প্রেমিককে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সুজন বিয়ে দ্বিমত পোষণ করে। এ নিয়ে দুজনের মাঝে বিরোধ চলছিল ও বিভিন্ন সময় সুজনকে ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিল।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে কালিহাতী উপজেলার বল্লা করোনেশন হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে লুঙ্গি বিক্রি করার সময় আলেয়া বেগম সুজন মণ্ডলের গায়ে প্লাস্টিকের মগ দিয়ে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে। এতে সুজনের মুখের বামপাশ ঝলসে বিকৃত হয়ে যায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। ওই অ্যাসিড সুজনের পাশে থাকা আহম্মদ আলী, জহিরুল ইসলাম, খোরশেদের গায়ে লেগে তাদের শরীরও ঝলসে যায়।

পরে সুজনের ডাক চিৎকারে বাজারের লোকজন এগিয়ে এসে আলেয়াকে আটক করে কালিহাতী থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। জিজ্ঞাসাবাদে দোষ স্বীকার করে আলেয়া জানায় অ্যাসিড উপজেলার সিংগাইর দক্ষিণপাড়া গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে লুৎফর সরবরাহ করেন। পরে থানা পুলিশ তাকেও আটক করে।

এ ব্যাপারে কালিহাতী থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, এ ঘটনায় মামলা করে অ্যাসিড নিক্ষেপকারী আলেয়া ও অ্যাসিড সরবরাহকারী লুৎফরকে আটক করে রোববার দুপুরে টাঙ্গাইল জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত