305147

মুসলিমদের বন্দি রাখতে ৫০০ কারাগার চালাচ্ছে চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ চীনে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন এবং এই উইঘুরবাসীদের শিনজিয়াং প্রদেশের বাইরে যেতে দেওয়া হয় না এ রকম অনেক অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি মানবাধিকার কর্মিদের পর্যবেক্ষণে একটি নতুন তথ্য বের হয়েছে, তাহলো উইঘুরবাসীদের আটক ও বন্দি রাখতে প্রায় পাঁচশ’ ক্যাম্প ও কারাগার চালাচ্ছে চীন সরকার।

মঙ্গলবার দ্য ইস্ট তুর্কিস্তান ন্যাশনাল অ্যাওয়াকেনিং মুভমেন্ট সংস্থাটি জানায়, গুগল আর্থের ছবি মূল্যায়ন করে ১৮২টি বিনা বিচারে বন্দি রাখার ক্যাম্প, ২০৯টি সন্দেহভাজন কারাগার এবং ৭৪টি শ্রম ক্যাম্পও পাওয়া গেছে চীনে। এসব কারাগারে উইঘুর মুসলিমদেরকে বন্দি রাখা হয়েছে। এই সরেজমিন প্রতিবেদনের সঙ্গে গুগলের তথ্য মিলে গেছে বলেও দাবি করছে মানবাধিকার সংস্থাটি।

এক সংবাদ সম্মেলনে ওয়াশিংটনে সংস্থাটির পরিচালক কেইল ওলবার্ট বলেন, আমরা শনাক্ত করতে পারিনি এমন বহু ক্যাম্প রয়েছে সেখানে। তিনি আরও বলেন, ক্যাম্প সাইটের বিভিন্ন চিত্রে পরপর স্থাপিত বিভিন্ন স্টিল ও কংক্রিটের অবকাঠামো চোখে পড়েছে। নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভেতর গত চার বছরে এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও এ গ্রুপটির উপদেষ্টা অ্যান্ডার্স কোর বলেন, এর আগে ৪০ শতাংশ এলাকার প্রতিবেদন করা হয়েছিল। গত মে মাসে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের এশিয়াবিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা র‌্যানডাল স্ক্রিভার বলেন, আটক রাখার এ সংখ্যা ৩০ লাখেরও বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই অঞ্চলটিতে রয়েছে প্রায় দুই কোটি জনসংখ্যা। যাদের বড় একটা অংশ এখন কারাগারে বন্দি।

গত সেপ্টেম্বরে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, হাজার হাজার উইঘুরদের চোখে কালো কাপড় বেঁধে ট্রেনে তুলে কোথায় যেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

চীন উইঘুরদের আটক কেন্দ্রে রেখে মান্দারিন ভাষা শিখতে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রতি অনুগত থাকতে এবং নিজেদের ধর্ম বিশ্বাসের অবজ্ঞা করতে বাধ্য করছে বলে অভিযোগ জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার
সংগঠনের।

তবে শুরু থেকেই বেইজিং এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তারা বলছে, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের লক্ষ্যে উইঘুর ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষ ‘স্বেচ্ছা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে’ যোগ দিচ্ছেন, যা তাদের চাকরি পেতে ও চীনের মূল সমাজের অংশ হতে সহায়তা করছে।

ad

পাঠকের মতামত