304922

এই পরিস্থিতি আমাকে নাজুক করেনি বরং আরও অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছে: মিথিলা

অভিনয়শিল্পী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা ও পরিচালক ইফতেখার আহমেদ ফাহমির কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চলছে ব্যাপক শোরগোল। এ নিয়ে ফেসবুকে মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ এক স্ট্যাটাসে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেন মিথিলা।

ফেসবুক পোস্টে মিথিলা জানান, গত ২৪ ঘণ্টা আমি সবকিছু থেকে বিরতি নিয়েছি শান্ত থাকার জন্য যেন আমি দৃঢ়ভাবে ফিরে আসতে পারি। এই পরিস্থিতি আমাকে নাজুক করেনি। বরং এই পরিস্থিতি আমাকে আরও অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছে।তবে মিথিলার দেয়া এই পোস্ট তার ফেসবুক আইডিতে এখন আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

গতকাল মিথিলা পোস্ট দেয়ার পর দ্রুতই তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে তার পোস্ট শেয়ার দেন ও মন্তব্য করেন। মিথিলার সেই পোস্টে অনেকেই খারাপ মন্তব্য করতে থাকেন বলে জানা যায়।

মঙ্গলবার ফেসবুক স্ট্যাটাসে মিথিলা লিখেন, ‘কী ঘটেছে তার কোনও ব্যাখ্যা দিতে আসিনি বরং আমার কিছু ব্যক্তিগত ছবি (যার কিছু সত্য, কিছু অতিরঞ্জিত) নিয়ে সাম্প্রতিক ‘সোশ্যাল মিডিয়া ড্রামা’ নিয়ে আমার অবস্থান তুলে ধরতে চাই।

এগুলো ২০১৭/২০১৮ সালে আমার তখনকার বয়ফ্রেন্ডের সাথে শেয়ার করা ছবি। কিছু দুষ্কৃতিকারী কন্টেন্টের খোঁজে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার ফেসবুক প্রোফাইল হ্যাক করেছে যেন সেগুলোকে অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করা যায়।

মিথিলা আরও লিখেন, আমি ‘ডেটিং’ শব্দটির ওপর জোর দিচ্ছি এর অর্থ আমরা তখন একটি সম্পর্কে ছিলাম। এ নিয়ে ভনিতা করার উচিত নয় যে যখন দু’জন মানুষ ডেট করে তারা অন্তরঙ্গ মুহূর্ত এবং ছবি শেয়ার করে থাকে। প্রযুক্তির যুগে এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হয়ে থাকতে পারে।নিজের গোপনীয়তা রক্ষা করতে না পারার দায় আমি নিচ্ছি।

এসব ছবি নিয়ে লজ্জিত নন উল্লেখ করে মিথিলা জানান, বরং কিছু মানুষ যেভাবে তার ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি পোস্ট করছে এবং সেগুলো বেচে সাবস্ক্রিপশন বাড়াচ্ছে কিংবা সংবাদ প্রকাশ করছে সেটি তাকে লজ্জিত করেছে। তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে ভার্চুয়ালি তাকে যৌন হয়রানি করা হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

তিনি আরো লিখেন, কিছু কিছু সংবাদ মাধ্যম আমার বক্তব্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করেছে যদিও আমি তাদের সাথে কোনো কথা বলিনি। যখন আমি দেখি রাস্তাঘাটে, বাড়িতে, ভার্চুয়ালি সর্বত্র নারীরা যৌন নির্যাতনের শিকার হয় তখনও আমি একইভাবে লজ্জিত হই।

আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমার সম্মান, মর্যাদা আমার শরীর, অন্তর্বাস কিংবা ব্যক্তিগত ছবিতে থাকে না। আমি সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম, সৃজনশীলতা ও শিক্ষা দিয়ে যে অর্জন করেছি সেগুলো কিছু অপরাধীর জন্য বৃথা যেতে পারে না, যারা ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো চুরি করে আমাকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করে আসছে, লিখেন মিথিলা।

পুলিশের সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্টে অভিযোগ করার কথা উল্লেখ করে মিথিলা লেখেন, আমি কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানিয়েছি। আমি ‘আইসিটি অ্যাক্টে’ মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

আমি প্রতিজ্ঞা করছি কর্তৃপক্ষের সহায়তা নিয়ে ঐ সকল দুষ্কৃতিকারীদের শনাক্ত করবো যারা আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আমি নিজের জন্য লড়বো, এবং সকল মানুষের জন্য লড়বো যারা হ্যাকার এবং সাইবার শিকারীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমার পরিবার, বন্ধু এবং সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানাই যারা এই সময়ে আমার পাশে ছিল।

ad

পাঠকের মতামত