301718

‘সরকারের কাছে যথেষ্ট পেঁয়াজ মজুদ, উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই’

দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজি ১০০ টাকা ছুঁলেও বাণিজ্য সচিব বলছেন, দেশীয় ও আমদানি করা পেঁয়াজের সন্তোষজনক মজুত রয়েছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য সচিব মো. জাফর উদ্দীন এ কথা জানান। একই সঙ্গে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) থেকে টিসিবির মাধ্যমে ১৬ স্থানের পরিবর্তে রাজধানীতে ৩৫ স্থানে ট্রাকের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, এতদিন রাজধানীতে ১৬টি ট্রাকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পেঁয়াজ বিক্রি করতো। মঙ্গলবার থেকে ৩৫টি ট্রাকে করে পেঁয়াজ বিক্রি হবে।

টিসিবি কতদিন পেঁয়াজ বিক্রি করবে জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব বলেন, বাজারের প্রয়োজন অনুযায়ী বিক্রি করা হবে। যতদিন বাজার স্বাভাবিক না হচ্ছে ততদিন এই বিক্রি চলবে।

বাণিজ্য সচিব বলেন, ট্যারিফ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। দেশের প্রধান পেঁয়াজ উৎপাদনকারী অঞ্চল ফরিদপুর, পাবনাসহ সারাদেশে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ৩ লাখ টন পেঁয়াজ চাষি ও ব্যবসায়ীদের কাছে মজুদ আছে। যা দিয়ে আগামী ৫০ থেকে ৫৫ দিন দেশের পেঁয়াজের চাহিদা মেটানো সম্ভব। আর এই সময়ের মধ্যে দেশে নতুন পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। ফলে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতার কোনো কারণ নেই।

তিনি বলেন, এসব মজুদ পেঁয়াজ যাতে স্বাভাবিকভাবে বাজারে সরবরাহ করা হয় এবং বাজারের কোনো পক্ষ যাতে কারসাজি করতে না পারে সেজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১০টি তদারকি টিম গঠন করেছে। এই টিমগুলো রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। ফলে আশা করা যাচ্ছে, পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক থাকবে।

কেউ অসৎ উদ্দেশে পেঁয়াজের সংকট সৃষ্টি করলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান বাণিজ্য সচিব।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যাতে পেঁয়াজ নিয়ে কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হয় সেজন্য আমরা কৃষি ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় নিয়ে দীর্ঘমেয়াদে পরিকল্পনা নিচ্ছি। আমাদের ঘাটতি খুব বেশি না। যেহেতু আমরা খাদ্যে স্বয়ঃসম্পন্ন হয়েছি, কাজেই পেঁয়াজ-রসুন-আদা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদে পদক্ষেপ নিয়েছি। যাতে ভবিষ্যতে আমদানির দিকে তাকিয়ে থাকতে না হয়।

বাণিজ্য সচিব বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে এলসি ওপেন করা আছে। একইসঙ্গে দেশি পেঁয়াজের মজুদ পরিস্থিতি জানতে একজন যুগ্ম সচিবকে পাঠিয়েছিলাম এ বিষয়ে তথ্য আনার জন্য। সেখানে দেখা গেছে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) পেঁয়াজের মূল্য মোটামুটি প্রতিকেজি ৬০ টাকা ছিল। কিন্তু ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবরে একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে আমরা বসে নেই। এ বিষয় নিয়ে আজ সকালে বসেছিলাম।

তিনি বলেন, একটি ভালো খবর হলো মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আনার যে প্রক্রিয়া ছিল সেটার দুইটি জাহাজ এসে পৌঁছেছে নৌবন্দরে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একটি জাহাজের পেঁয়াজ রোববার খালাস হয়েছে। আর একটি জাহাজ আজ খালাস হবে। মিয়ানমার থেকে দুইটি চ্যানেলে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। এছাড়া তুরস্ক ও মিশর থেকে পেঁয়াজ আনার প্রক্রিয়া চলমান। আসতে যতোটা সময় লাগতে পারে। তবে সময়টা আমি বলতে চাচ্ছি না। যে কোনো মুহূর্তে আসতে পারে।

ad

পাঠকের মতামত