301646

‘সুমনের কর্মকাণ্ডের কারণে ৫০-৬০ জন ব্যারিস্টার হয়ে গেছে’

মাসে মাত্র আড়াই হাজার টাকা দিয়ে চলতাম। শুধু পড়াশোনা করার মধ্য দিয়ে আজকে আমি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছি। আমার মা, ভাই, বোন, শশুর বাড়ি থেকে শুরু করে সবাই আমার জন্য গর্ববোধ করে। আমি তো নক্ষত্রের মতো এখন চমকাচ্ছি। তবে আমারও হয়তো একটা সময় পতন হবে। কারণ নক্ষত্রেরও পতন হয়, আমারও স্বাভাবিক নিয়মে পতন হবে।

কিন্তু পতন হওয়ার আগে আমার বিশ্বাস, যদি ঠিকমত কাজ করি আরও অনেক নক্ষত্র তৈরি হবে। আমার যেদিন জানাজা হবে ঐদিন আপনারাই জানাজায় যাবেন। লাশ যদি মানুষের কথা শুনতে পায় তাহলে আমি শুনতে পাবো, আমার ব্যাপারে মানুষ বলবে, ব্যারিস্টার সুমনের কর্মকাণ্ডের কারণে আজকে হবিগঞ্জে ৫০-৬০ জন ব্যারিস্টার হয়ে গেছে; যারা হবিগঞ্জের দায়িত্ব নিতে পারে।

শনিবার হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে গুণীজন সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের এ জনপ্রিয় ব্যক্তি বলেন, হেরে যাওয়া মানুষের সাথে কেউ হাঁটতে চায় না। যদি জীবনে সফল না হও তাহলে তোমার সাথে কেউ হাঁটতে চাইবে না। এসব মানুষের জীবন অনেক কষ্টের হয়-এই কথাটা বুঝতে শিখো।

তিনি বলেন, আমরা যদি মানুষের জন্য না কাঁদি, সমাজের জন্য না কাঁদি, বাংলাদেশটা তৈরি করার জন্য কাজ না করি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা না করি তাহলে কে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে?

প্রতি মাসে মায়ের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা করে নিয়েছি। সে টাকা দিয়ে চলতে অনেক কষ্ট হয়েছে। কিন্তু আমি এখন দৈনিক এমনও সময় যায়, দুই থেকে তিন লাখ টাকাও ইনকাম করে ফেলি। রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যা উপার্জন হয় শুক্রবার এবং শনিবার সব টাকাযই চুনারুঘাটের মাটির জন্য খরচ করি, বলেন সুমন।

তিনি আরও বলেন, যে বয়সে আমার সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড গিয়ে ঘুরার কথা, যে সময় আমার আনন্দ করার কথা, এ সময় কলিজাটা খুলে যা টাকা উপার্জন করি সব টাকা এনে আমার জন্মস্থানে দিচ্ছি। আমি যেদিন মারা যাব সেদিন আমার জন্মস্থানের মাটিতেই আমাকে কবর দেওয়া হবে। আমি বিশ্বাস করি, মানুষ তার নিজের জন্য বাঁচে না, মানুষ বাঁচে মানুষের জন্য; মানুষ বাঁচে সমাজের জন্য।

ad

পাঠকের মতামত