301635

জাতিসংঘে ভাষণ দেয়ায় ভারতে ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ জাতিসংঘে আপত্তিজনক বক্তব্য দিয়েছেন অভিযোগ করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে ভারতে মামলা দায়ের হয়েছে। দেশটির বিহার রাজ্যের মুজাফফরনগরের এক আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এক আইনজীবী।

শনিবার বিহারের মুজাফফরনগর আদালতে একাধিক ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামী ২১ অক্টোবর ওই মামলার শুনানি হবে।

সুধীরকুমার ওঝা নামের ওই আইনজীবী অভিযোগে জানান, মুজফ্ফরপুরের মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতে ইমরানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪(এ), ১২৫ ও ৫০৫ ধারা অনুযায়ী ওই মামলা দায়ের করেন। তার অভিযোগ, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ‘আপত্তিজনক’ মন্তব্য করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি তার বক্তব্যে ভারতকে পরমাণু যুদ্ধের হুমকিও দিয়েছেন।

তিনি আদালতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, তার অভিযোগের ভিত্তিতে যেন ইমরান খানের বিরুদ্ধে এফআইআর করার অনুমতি দেওয়া হয়। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্তে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য উস্কানিমূলক ছিল। এতে দেশের সংহতি নষ্ট হবে।

গত শুক্রবার জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে ইমরান খান কার্যত ভারত-পাক যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো হুমকি দিচ্ছি না। কিন্তু আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীকেও ভাবতে হবে, তাঁরা ১৩০ কোটি মানুষের ভারতীয় বাজারকে তোষণ করবেন, নাকি নিরপরাধ নির্যাতিত মানুষের ন্যায়ের জন্য লড়বেন। তা না হলে ভালো আশা আপনারা করতেই পারেন, কিন্তু খারাপের জন্যও তৈরি থাকুন।’

জাতিসংঘের ওই মঞ্চে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘প্রথাগত যুদ্ধ শুরু হলে যা কিছু হতে পারে। যখন দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশ পরস্পরের মুখোমুখি এসে দাঁড়ায়, তখন ফলাফল সীমান্তেই আটকে থাকে না। এখন এটা জাতিসংঘের কাছে পরীক্ষা, তারা কী চাচ্ছে!’ গুজরাট দাঙ্গা থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফ্যাসিস্টদের সঙ্গেও তুলনা করেছেন ইমরান খান।

জাতিসংঘে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব বিদিশা মৈত্র ইমরান খানের ভাষণের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক যে, পাক প্রধানমন্ত্রী গোটা বিশ্বকে আড়াআড়িভাবে ভাগ করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমরা-ওরা, ধনী-গরিব, উত্তর-দক্ষিণ, উন্নত-উন্নয়নশীল এবং মুসলিম-অন্যান্য। তাঁর ওই ভাষণ প্ররোচনামূলক। ঘৃণায় ভরা।’

ইমরান খান জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে যে ধরণের শব্দ প্রয়োগ করেছেন, তার মধ্য দিয়েই তাঁর মধ্যযুগীয় মানসিকতার প্রতিফলন ঘটেছে বলেও বিদিশা মৈত্র মন্তব্য করেন।

ad

পাঠকের মতামত