301396

খালেদ-সম্রাটকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য মওদুদের

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট ও যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াসহ দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া আরো বেশ কিছু নেতাকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ।

তিনি বলেন, জি কে শামীম, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, ইসমাইল হোসেন সম্রাটদের পেছনে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী এমপি-মন্ত্রীরা রয়েছেন। তাই শেষ পর্যন্ত তাদের কিছুই হবে না।শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।মওদুদ বলেন, ‘আজকে যে নৈরাজ্য দেখছেন, প্রতিটা ক্ষেত্রে যে পতন ঘটেছে- এ পতনের একমাত্র কারণ দেশে কোনো প্রতিনিধিত্বশীল সরকার নেই। সে কারণে কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।’

তিনি বলেন, ‘শামীম, খালেদ আর সম্রাট— এরা মাত্র তিনটি নাম। এ রকম আরও শত শত নাম আছে। শত শত মানুষ আছে, যুবলীগ আছে, ছাত্রলীগ আছে, যারা চাঁদাবাজি করে, ব্যবসা করে, ক্যাসিনো চালায় এবং জুয়ার আসর বসায়। এরা কারা? তারা তো এই দলেরই নেতা।’তিনি বলেন, ‘কেবল ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক শোভন আর রাব্বানী নয়, ছাত্রলীগের মধ্যে এ ধরনের শোভন রাব্বানী অনেক রয়েছে। একজন ছাত্রনেতা ৮৬ কোটি টাকা চাঁদাবাজি করবে, এ তো কল্পনাই করা যায় না।’

মওদুদ বলেন, দেশের সর্বত্র দুর্নীতি ছড়িয়ে গেছে। ক্ষমতাসীন দলের সর্বস্তরের তো বটেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এদের মধ্যে তিন জনের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়েছে। একটি হল প্রধানমন্ত্রীর নিজ জেলা গোপালগঞ্জের। তাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়েছে এবং আন্দোলন চলছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন চলছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জজ সাহেবদের অত্যন্ত সম্মান করতাম। আজকে দেখা যাচ্ছে আদালতের সর্বত্র দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে। সে জন্য আমি মনে করি জনগণের ভোটে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেই এসব নৈরাজ্য দূর হবে।’

মওদুদ আরও বলেন, ‘এ সরকারের পক্ষে দলীয় লোকদের দুর্নীতি দূর করা সম্ভব হবে না। আজকে হয়তো খবরের কাগজে খুব ভালো করে ছাপানো হচ্ছে। দেখবেন কয়েকদিন পরে এগুলো ধামাচাপা দেয়া হবে। এদের সঙ্গে যেসব এমপি-মন্ত্রী জড়িত, তাদের প্রভাবে এদের শেষ পর্যন্ত কিছুই হবে না।’

তিনি বলেন, ‘এ প্রেক্ষাপটে সব চেয়ে বেশি প্রয়োজন দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তিনি এক বছর সাত মাস জেলখানায় আছেন। আইনের আওতায় তাকে মুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো আদালতে খালেদা জিয়ার জন্য সুসংবাদ নেই। কারণ, তারা সব আদালতকে প্রভাবিত করেছে। সেই জন্য রাজপথই একমাত্র পথ। সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনের মাধ্যমেই বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।’
সূত্রঃ বাংলাদেশ জার্নাল

ad

পাঠকের মতামত