300798

বাংলাদেশকে ঋণ দিতে ঢাকায় ব্রিফকেস নিয়ে হাঁটছে বিদেশিরা: পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রয়োজন হলে আমরা ঋণ নেবো। আবার সময়মতো পরিশোধও করবো। বাংলাদেশকে ঋণ দিতে বিদেশিরা ঢাকায় ব্রিফকেস নিয়ে হাঁটছে বলে মন্তব্য করেছেন,পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে। মাথাপিছু আয় দ্রুত বাড়ছে। বাংলাদেশকে ‘বিলিয়নস অব ডলার’ ঋণ দিতে চায় ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবি, আইএমএফ, চাইনিজ ব্যাংকসহ অন্যরা। তাহলে কেনো আমরা ডোনার ফান্ড চাইবো?

শনিবার চট্টগ্রাম অফিসার্স ক্লাবে ‘এসডিজি অর্জনে ক্ষুদ্র অর্থায়ন প্রতিষ্ঠানসমূহের ভূমিকা’ শীর্ষক আঞ্চলিক সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।ব্র্যাকের সিনিয়র উপদেষ্টা এবং সাবেক মূখ্য সচিব মো. আবদুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর প্রফেসর ড. আতিউর রহমান, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ)।

এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু মুখার্জী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইএনএম এর নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তফা কে. মুজেরী, মমতার প্রধান নির্বাহী রফিক আহামদ, অন্তর সোসাইটি ফর ডেভলপমেন্টের প্রধান উপদেষ্টা এমরানুল হক চৌধুরী, ইপসার প্রধান নির্বাহী আরিফুর রহমান প্রমুখ।

এম এ মান্নান বলেন, দেশের মাইক্রোক্রেডিট প্রতিষ্ঠানসমূহের মাত্র ১ শতাংশ মূলধন ডোনার ফান্ড থেকে আসে। তাহলে এটা নিয়ে এতো কথা বলার কী আছে? ফান্ড যদি ইনসাফিসিয়েন্ট হয়, ভয়ের কিছু নেই। আমরা প্রয়োজনে ঋণ নেবো। তবে ডোনার শব্দটি ব্যবহার করা আমাদের জন্য অপমানজনক।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৭২, ৭৩ বা ৭৪ সালে অনেক ডোনেশন আসতো। আমরা সেগুলো নিতাম। এসব নিয়ে বিদেশিরা বাহাদুরি দেখাতো। কিন্তু এখন আর তাদের বাহাদুরি দেখার দরকার নেই। কেউ যদি বন্ধুত্বের হাত আমাদের প্রতি বাড়িয়ে দেয়, তাহলে আমরাও হাত বাড়াবো। তবে প্রভুত্ব মেনে নেবো না।

এদিকে, সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট অনেকেই প্রান্তিক পর্যায়ে মাইক্রোক্রেডিট কার্যক্রম চালাতে গিয়ে চাঁদাবাজি, হয়রানির অভিযোগ করেছেন। সার্ভিস চার্জ কমানোর এবং ঋণের সুদ সীমা বাড়ানোর দাবিও জানিয়েছেন। এসব বিষয় নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

ad

পাঠকের মতামত