300811

‘বউযাত্রার’ পর এবার হলো ‘বরভাত’

বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়ি যাবে বর। বিয়ে করে নতুন বউ নিয়ে ফিরবে বাড়ি। এটাই বিয়ের প্রচলিত ধারা। কিন্তু, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা ঘটেছে তার ঠিক উল্টো। বিয়ে করতে বরের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন চুয়াডাঙ্গার কনে খাদিজা আকতার। বিয়ের পর নতুন বরকে নিয়ে ফিরেছেন তার বাবার বাড়িতে। ব্যতিক্রমী এই বিয়ের একদিন পর চুয়াডাঙ্গার হাজরাহাটি গ্রামে কনে পক্ষের বাড়িতে নব দম্পতির ‘বরভাত’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার জেলার হাজরাহাটি গ্রামে কনের বাড়িতে আলোচিত এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

‘বরভাত’ উপলক্ষে কনের বাড়িতে আলোকসজ্জা, জমিয়ে চলেছে রান্নাবান্না, গেটে আমন্ত্রিত বরপক্ষের লোকজনের অপেক্ষা আর আপ্যায়নের কমতি ছিল না নববধুর পরিবারের সদস্যদের।‘বরভাত’ অনুষ্ঠানের বিষয়ে বর তরিকুল বলেন, বিয়ের ঘটনা সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। ‘বরভাতের’ অনুষ্ঠানেও অনেক মানুষ যোগ দিয়েছেন। তারা এই ধরনের বিয়েকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন।

বরের বাবা আবদুল মাবুদ বলেন, অনেক সমালোচনা সহ্য করে ওই রকম একটি বিয়ে দিতে হয়েছে। বিয়েতে সব চেয়ে সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন খাদিজা। ‘বরভাতের’ অনুষ্ঠানও খাদিজা-তরিকুলের ইচ্ছাতে হয়েছে। নারী-পুরুষ সমতা তৈরিতে খাদিজা-তরিকুলের বিয়ে সমাজে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।

নববধূ খাদিজা আক্তার বলেন, ভিন্ন ধরনের বিয়েতে আরও একটি নতুন মাত্রা যোগ করতে এই ‘বরভাতের’ আয়োজন। ‘বরভাতের’ অনুষ্ঠানে অনেকে এসে তাঁদের দোয়া করছেন।

নববধূর বাবা কামরুজ্জামান বলেন, ‘মেয়ের বিয়ের ঘটনা এখন সবার মুখে মুখে। এই কারণে সকাল থেকেই এলাকার মানুষ ভিড় করেছে বরকে এক নজর দেখার জন্য। মেয়ের বিয়েতে সবকিছুই উল্টো করা হচ্ছে। অনেকে এতে বেশ মজা পেলেও বেশ কিছু মানুষ সমালোচনাও করছে।

প্রসঙ্গত, খাদিজা ও তরিকুল পণ করেছিলেন বিয়েসংক্রান্ত নিয়মগুলোকে বুড়ো আঙুল দেখাবেন। এমন ইচ্ছা থেকেই প্রচলিত নিয়ম ভেঙে ব্যতিক্রমী এই বিয়ে আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত