299329

সমুদ্রে ভেসে এলো বোতলবন্দি বার্তা

স্নায়ুযুদ্ধকালে সাহায্য চেয়ে একটি চিঠি বোতলবন্দি করে সমুদ্রে ভাসিয়েছিলেন রুশ নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা। সেই চিঠি যত দিনে গন্তব্যে পৌঁছল তত দিনে ৫০ বছর পেরিয়ে গেছে। সাহায্যের প্রয়োজন ফুরিয়েছে, কিন্তু নিজের হাতে লেখা চিঠিখানি দেখে চোখের পানি সামলাতে পারেননি সেই নাবিক। এ যেন বর্তমানের তটে ভেসে আসা একটুকরা অতীত।

অর্ধশতক পুরনো এই বোতলটির খোঁজ মিলেছে পশ্চিম আলাস্কার সমুদ্রতটে। আগুন জ্বালানোর জন্য খড়কুটো সংগ্রহ করছিলেন টেলর ইভানফ নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা। ঝোপের মধ্য দিয়ে হাঁটার সময় হঠাৎই তিনি হোঁচট খান। তাকিয়ে দেখেন, সবুজ রঙের একটি বোতল পড়ে আছে। নোংরা ও বেশ পুরনো। ইভানফের কথায়, ‘বোতলটি ভালো করে নিরীক্ষণ করে দেখলাম এর কর্কটা কোনো সাধারণ কর্ক নয়। বেশ মজবুত করে আটকানো। বোতলের ভেতরে আছে একটুকরা কাগজ।’

রাশিয়ান ভাষায় লেখা সেই চিঠির বিন্দুবিসর্গও বুঝতে পারেননি ইভানফ। অগত্যা সাহায্য চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি। হয় মুশকিল আসান। এক রুশ নাগরিক তাঁকে বলেন, চিঠিটি ১৯৬৯ সালে লেখা। স্নায়ুযুদ্ধে অংশ নেওয়া এক রুশ নৌ সেনা সাহায্য চেয়ে বার্তাটি পাঠিয়েছিলেন। চিঠিতে একটি ঠিকানা লিখে বলা হয়েছে, ‘যিনি পাবেন, তিনি যেন জবাব দেন কিংবা সাহায্য পাঠান।’

বোঝাই যাচ্ছে সে সাহায্য পৌঁছয়নি। তবে চিঠিটি যে উদ্ধার হয়েছে সে খবর ওই কর্মকর্তার কাছে পৌঁছেছে, বর্তমানে যিনি অবসরপ্রাপ্ত। ক্যাপ্টেন অ্যানাতোলি নিজের হাতের লেখা চিনতে পেরেছেন। চিঠিটি দেখতে পেয়ে চোখের পানি সামলাতে পারেননি তিনি। গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কিভাবে মাত্র ৩৩ বছর বয়সে প্রশান্ত মহাসাগরে একা একটি যুদ্ধজাহাজ সামলেছেন! সাহায্য না পাওয়ার দুঃখ চিঠিটি দেখে ভুলে গেছেন তিনি। সূত্র : এই সময়।

ad

পাঠকের মতামত