299424

পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ট্রাকের নিচে ৩ বন্ধু!

পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালানোর সময় মোটরসাইকেল আরোহী ৩ বন্ধু ট্রাকের নিচে পড়ে গুরতর আহত হয়েছেন। দু বন্ধুর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) বিকালে পাবনার ঈশ্বরদী শহরের অরণকোলা ফকিরের মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আর এ ঘটনার জন্য পুলিশকে দায়ী করে স্থানীয় জনতা আটকে রাখলেও ঈশ্বরদী থানা পুলিশ পরে সেই কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে।

আহত তিন বন্ধু হলেন, রমশেদ দাসের ছেলে পলাশ দাস (২১), বলয় দাস (১৯) ও মিলন দাসের ছেলে বিপ্লব দাস (২২)। এরা তিনজনই ঈশ্বরদীর বহরপুর এলাকার বাসিন্দা।

আহত বিপ্লব দাস এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করে জানান, বুধবার বিকেলে এক মোটরসাইকেলে তিন বন্ধু দাশুড়িয়া যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে অরণকোলা ফকিরের মোড় এলাকায় ঈশ্বরদী আমবাগান পুলিশ ফাঁড়ির টিএএসআই মতিউর রহমান তাদের থামতে বলেন। পুলিশের ইশারা অমান্য করায় পেছন থেকে আরেকটি মোটরসাইকেল নিয়ে তিনি তাদের ধাওয়া করেন।

পরে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে দ্রুত মোটরসাইকেল চালানোর সময় সামনে থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলসহ তিন বন্ধু ট্রাকের নিচে চাপা পড়েন। এ সময় স্থানীয়রা এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। এ সময় জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে অবস্থা বেগতিক দেখে ওই এটিএসআই পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু স্থানীয়রা তার মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নিয়ে তাকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

এদিকে গুরুতর আহত তিন বন্ধুকে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে পলাশ ও বলয়কে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে সহকারী শহর উপপরিদর্শক (এটিএসআই) মতিউর রহমান বলেন, তাদের ধাওয়া করা হয়নি, পুলিশ দেখে ওরা ভয় পেয়ে পালাতে গিয়ে ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে।

ঈশ্বরদী আমবাগান পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনার জন্য এটিএসআই মতিউরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে তিনি দায়ী হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ট্রাকের ড্রাইভার পালিয়ে গেছে তবে ট্রাকটি আটক করে থানায় রাখা হয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত