299491

চাঞ্চল্যকর তথ্য, মিয়ানমারের পরে ভারত থেকেও আসছে ই’য়াবা

আলোচিত মাদক ই’য়াবার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেও তা বন্ধ করতে না পারায় ধারণা করা হচ্ছিল, অভিযানের মুখে টেকনাফে ই’য়াবার চিহ্নিত রুট বদলে ফেলেছে মাদক কারবারিরা। শেষ পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সেই অনুমানই সত্যি হচ্ছে। সম্প্রতি ঢাকায় বিপুল সংখ্যক ই’য়াবাসহ ভারতীয় এক নাগরিককে গ্রেফতারের পর এর নতুন রুট নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। পুলিশ বলছে, মিয়ানমার সীমান্তে কড়াকড়ির কারণেই ভারত হয়ে এই মাদক আনা হচ্ছে ঢাকায়। আর এক্ষেত্রে পাচারকারীরা ব্যবহার করছে আসাম-রৌমারী-ঢাকা রুট।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, ২০১৭ সাল থেকে ই’য়াবাসহ সকল মাদকের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান শুরুর পর টেকনাফ কক্সবাজারে ই’য়াবার প্রচলিত রুট বদলে ফেলেছে মাদক কারবারীরা- এমন ধারণা করছিলেন তারা। কারণ বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে কড়া নজরদারির পরও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে ধরা পড়ছিলো ই’য়াবার বড় বড় চালান। অবশেষে সত্যি হলো ধারণা।

রাজধানীর রামপুরা থেকে আব্দুস সবুর নামে ভারতের আসামের কুকুরমারা গ্রামের এক নাগরিকসহ তিনজনকে গ্রেফতারের পর ই’য়াবা বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়ার দাবি গোয়েন্দা পুলিশের।

তারা বলছে, সবুর কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্ত দিয়ে ই’য়াবার বেশকটি চালান বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। বাংলাদেশে তা গ্রহণ করেছে জাকির হোসেন। এবারে সে বাংলাদেশে আসে মূলত ই’য়াবার বাজার যাচাই করতে। এক্ষেত্রে বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা নিয়েই মানিকচর-রৌমারী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসে। প্রতি পিস ই’য়াবা আব্দুস সবুর ভারতে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় কেনে এবং বাংলাদেশি মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে ৬৫ টাকায় বিক্রি করে।

ই’য়াবা পাচারকারী একজন বলেন, আমি জাকিরের বাসায় থাকতাম। সেখানে বসে এই ট্যাবলেটের ব্যবসা করতাম। ই’য়াবা পাচারের এই নতুন পথ নিয়ে শঙ্কার কথা বলছে গোয়েন্দা পুলিশও। প্রয়োজনে ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তথ্য বিনিময় করা হবে বলেও জানায় পুলিশ। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ উপ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, এটা আশংকের বিষয়। আমাদের সীমান্তের যে বাহিনীরা আছেন তারা অবশ্যই সতর্ক হবেন। এছাড়া আমরাও মেসেজ আদান-প্রদান করবো।

ad

পাঠকের মতামত