298317

২০ স্কুলছাত্রী ধর্ষণ: বিস্ফোরক তথ্য দিলো সেই শিক্ষক

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়ার অক্সফোর্ড হাইস্কুলের ২০ এর অধিক ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন গ্রেপ্তার হওয়া বিদ্যালয়ের সহকারী সিনিয়র শিক্ষক আরিফুল ইসলাম (৩০)।

র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ জানায়, ২০০৯ সালে অক্সফোর্ড হাইস্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করার পর ২০১৩ সাল পর্যন্ত সুনামের সঙ্গে শিক্ষকতা পেশায় জড়িত ছিল সে। ২০১৪ সালে প্রথম এক ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়। ধীরে ধীরে সম্পর্কের তীব্রতা বাড়তে থাকে। এবং দু’জন দু’জনকে বিয়ে করার চিন্তা করে। পরে আরিফ ওই ছাত্রীর মায়ের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি নাকচ করে দেন।

এর মধ্যে ওই ছাত্রী মাঝে মাঝে আরিফের বাসায় যেত। এবং প্রায় ৪ থেকে ৫ বার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ায় আরিফ। মাঝে একবার ছাত্রীর পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়। পরে বড়ি খাওয়ানোর পর পিরিয়ড আবার শুরু হয়। কিন্তু তার মা বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তাকে নিয়ে অত্র এলাকা ছেড়ে চলে যায়।

আরিফ জানায়, আরেক ছাত্রী আমার প্রতি অনেক পাগল হয়। আগের কষ্ট ভোলার জন্য তার সঙ্গে রিলেশন করি। যেটা দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছিল। এর মাঝে ২ থেকে ৩ বার শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয় আরিফ। একবার অসচেতনাবশত সেক্স করলে পরের দিন ট্যাবলেট খাওয়াই। এর মাঝে ৯ম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় ওই ছাত্রীরও বিয়ে হয়ে যায়।

আরিফ জানায়, আরও দুই ছাত্রী আমার বাসায় এসে পড়তো। সুযোগ ও সময় পেলে ওদের সঙ্গে শারীরিকভাবে মিলিত হতাম। ২০১৫ সালে তারা বিদ্যালয় থেকে চলে যাওয়ার পর ওদের সঙ্গে আর তেমন দেখা ও কথা হতো না।

আরিফ আরও জানায়, এক ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক একেবারে অল্পদিনের। ৪ থেকে ৬ মাসের সম্পর্ক। কিন্তু ও আরেক ছেলেকে ভালোবাসতো বিধায় আমাকে ছেড়ে দেয়। তবে ওর সঙ্গে ১/২ বার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। আর একবার বিদ্যালয়ের ৩য় তলায় গিয়ে কিছু ছবি তুলি এবং আলিঙ্গন ও কিস করি।

২০১৭ সালের শেষ থেকে এখন পর্যন্ত এক ছাত্রীর সঙ্গে রিলেশন আছে। আমরা একে অপরকে বিয়ের প্রস্তাব দেই। এবং দুজনেই তাতে রাজি হই। কিন্তু ওর বয়স কম হওয়ায় বিয়ে করা সম্ভব হয়নি। যদিও আমাকে অনেকবার চাপ দেয় সে। এই ছাত্রী আমার বাসায় প্রাইভেট পড়তো। তাই ওর সঙ্গে অনেকবার শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হই। ওকে ২ বার ওষুধ খাওয়াই।

প্রসঙ্গত, সিদ্ধিরগঞ্জে মিজমিজি মাদ্রাসা রোড এলাকায় অক্সফোর্ড হাইস্কুলের ২০-এর অধিক শিক্ষার্থীকে ব্ল্যাকমেইলিং করে ধর্ষণের অভিযোগে বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের সহকারী সিনিয়র শিক্ষক আরিফুল ইসলাম ও তাকে সহায়তাকারী প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১১। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলায় আরিফ ৬ দিন ও রফিকুল ইসলাম একদিনের রিমান্ডে রয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত