297700

কাশ্মীরে এক দিনে নিহত ৯, চলছে ধর্মঘট

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য জুড়ে চলছে ধর্মঘট। শুক্রবারের ওই ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যের জনজীবন। শ্রীনগরে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট, যানবাহন শূন্য হয়ে পড়েছে সেখানকার সড়কগুলো। অন্যন্য শহরগুলোতেও একই চিত্র চোখে পড়ছে।

ভারতীয় সেনাদের নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার এই ধর্মঘট ডেকেছে স্থানীয় রাজনৈতিক দল ‘দ্য জয়েন্ট রেজিসটেন্স লিয়ারশিপ’ (জেআরএল)। এর মাত্র একদিন আগেই সেনাবাহিনী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সংঘর্ষে কমপক্ষে নয়জন নিহত হয়।বৃহস্পতিবারের ওই সংঘর্ষে নিহতদের মধ্যে তিনজন জইশ-ই-মোহাম্মদ জঙ্গি (যাদের একজন পাকিস্তানি কমান্ডার), স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী দল হিজবুল মুজাহিদিনের দুই সদস্য, দুই ভারতীয় সেনা এবং দুইজন বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় ভারতীয় জওয়ানদের গাড়ি বহরে জঙ্গি হামলার পর কাশ্মীরে একদিনে এটাই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা। পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গিদল জইশ-ই-মোহাম্মদের ওই বোমা হামলায় ৪০ জওয়ান নিহত হয়। তারপর থেকে মুসলমান অধ্যুষিত কাশ্মীরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পুলওয়ামায় হামলার পর জঙ্গি আক্রমণ প্রতিরোধে সেনাবাহিনীকে ‘অবাধ ক্ষমতা’ দিয়েছেন। কাশ্মীরের গ্রামগুলোতে প্রতিদিনই তল্লাশি অভিযান চলছে এবং গোলাগুলির মধ্যে পড়ে বেসামরিক নাগরিকরা প্রাণ হারাচ্ছেন।সেনাবাহিনী তল্লাশি অভিযানে বেসামরিক নাগরিকদের ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

বৃহস্পতিবার নিহতদের একজন রইস আহমদ দার (৩২) বলে জানান গ্রামবাসীরা। তারা বলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী একটি বাড়িতে জঙ্গিরা লুকিয়ে আছে সন্দেহে তল্লাশি করতে গিয়ে প্রথমে রইসকে ভেতরে পাঠায়।সেনাবাহিনী এর আগেও বেসামরিক নাগরিকদের এভাবে ‘মানব ঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে গ্রামবাসীদের এই অভিযোগ অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।

এই সেনা নির্যাতনের প্রতিবাদে শুক্রবার কাশ্মীর জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে স্থানীয় রাজনৈতিক দল জেআরএল।জেআরএল’র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এমনকি পবিত্র রমজান মাসেও হত্যাকাণ্ড থামছে না। কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ, সশস্ত্র যুবাসহ ভারতীয় সেনাদের রক্ত ঝরেই চলছে।’

ad

পাঠকের মতামত