297359

ব্রিজ আছে, সড়ক নাই!

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের লুন্দী বাজারসংলগ্ন একটি ব্রিজ দীর্ঘ পাঁচ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণের অভাবে স্থানীয় জনগণ ব্রিজটি দিয়ে যাতায়াত এবং মালামাল পরিবহন করতে পারছে না। তবে ব্রিজের পাশে সংযোগ সড়ক হিসেবে কাজ করছে স্থানীয়দের তৈরি একটি বাঁশের ব্রিজ। যেটি দিয়ে প্রাপ্তবয়স্করা কোনোভাবে পার হতে পারলেও শিশুরা পার হতে পারছে না। এতে মাঝে-মধ্যেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে অনেকেই।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ব্রিজটি দীর্ঘ পাঁচ বছর আগে বৃহত্তর ফরিদপুর উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু ব্রিজের একদিকে একটি পুকুর থাকায় মাটি ভরাট ও সড়ক নির্মাণের অভাবে এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের কোনো উপকারে আসছে না ব্রিজটি।

তবে একটি বাঁশের ব্রিজ নির্মাণ করে স্থানীয় লোকজন ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজটি দিয়ে কোনোরকমে যাতায়াত করছে। এতে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান স্থানীয়রা। কিছুদিন আগে এই বাঁশের ব্রিজ থেকে পড়ে গিয়ে একটি শিশুর হাত ভেঙে যায়। ব্রিজের আশপাশে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাজারও রয়েছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ব্রিজসংলগ্ন রাস্তা না থাকায় তাদের টেকেরহাট বন্দর ও রাজৈর উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মালামাল পরিবহন করতে বেশ অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে এবং অনেক দূরের পথ ঘুরে আসার কারণে তাদের পরিবহন খরচ বেশি পড়ছে। ফলে পণ্যের দাম বেড়ে যায়।

স্থানীয়দের দাবি, তারা বেশ কয়েকবার উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সত্ত্বেও প্রকৌশলী তাদের কথা কর্ণপাত করেনি। তারা দ্রুত ব্রিজ সংলগ্ন সংযোগ রাস্তা নির্মাণ করে জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানান।

ইশিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফায়েজুর রহমান হিরু জানান, স্থানীয় দুই একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির কারণে টেন্ডার হওয়ার পরও কাজ শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে। সরকারি জায়গা হলেও ব্যক্তি মালিকানা জায়গা রয়েছে দাবি করে নির্মাণ কাজে বাধা দিচ্ছে প্রভাবশালীরা। মীমাংসা করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। তবে দ্রুত সংযোগ সড়কের কাজ শুরু হবে।

রাজৈর উপজেলা প্রকৌশলী কাজী মাহমুদউল্লাহ জানান, ব্রিজটি যে সময় নির্মাণ হয়, তখন অ্যাপ্রোচ সড়কের বরাদ্দ ছিল না। আমরা নতুন করে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ করিয়েছি। টেন্ডার হয়ে গেছে। লেওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। তবে এখনো ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন হয়নি। দ্রুত কাজ শুরু হবে। এ ছাড়া সংযোগ সড়কের জায়গার মধ্যে দেলোয়ার চৌধুরী নামে এক প্রভাবশালীর ব্যক্তি মালিকানা জায়গা রয়েছে দাবি করে দরখাস্ত দেওয়ায় সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ বিলম্বিত হচ্ছে।

ad

পাঠকের মতামত