297001

মিডিয়ায় সাহরি-ইফতারের খাবারের ছবি পোস্ট নিয়ে ফতোয়া!

আল্লাহর সঙ্গে বান্দার প্রেমের সম্পর্ক গড়ার অন্যতম মাস রমজান। এ মাস রহমত, বরকত ও নাজাতের মাস। অগণিত অসংখ্য পূণ্য লাভের মাস এটি। সাহরি ও ইফতার এ মাসের অন্যতম ইবাদত। ফেসবুক টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ইফতার ও সাহরির বাহারি খাবারের ছবি পোস্ট নিয়ে জারি করা হয়েছে ফতোয়া।

অথচ এ মাসের ইবাদতে নিয়োজিত ব্যক্তির বিগত জীবনের গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া ঘোষণা দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি। এ মাস জুড়ে একশ্রেণীর মানুষ ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় সামান্য বিষয়ে নিজেদের আমলগুলোকে বরবাদ করে দিচ্ছে। সাহরি ও ইফতার সামগ্রীর বাহারি সমাহারের ছবি পোস্ট সংক্রান্ত বিষয়টি গত সোমবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। এ বিষয়টি নিয়ে জর্ডানের রাষ্ট্রীয় ফতোয়া বিভাগ থেকে একটি ফতোয়া জারি করা হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে যেন সোশ্যাল মিডিয়ায় ইফতার- সাহরির খাবারের ছবি কিংবা আভিজাত্যে ভরপুর খানাপিনার ছবি পোস্ট করা থেকে বিরত থাকে মুসলিম উম্মাহ। ইফতার ও সাহরির আভিজাত্যপূর্ণ খাবারের ছবি মানুষের ইবাদতের নিয়তের বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে ওঠে। সুতরাং খাবারে এ ধরণের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে পোস্ট না করাই উত্তম। এ ধরনের পোস্টের কারণে রোজাদারের সব আমল বরবাদ হয়ে যেতে পারে বলে জানায় তারা।

মনে রাখতে হবে-রমজানের রোজা পালনের মাধ্যমে রহমত বরকত ও ফজিলত হাসিলের জন্য অনেক আমল করতে হয়। তেমনি অনেক মন্দ কাজও ছেড়ে দিতে হয়। আর ইফতার কিংবা সাহরির খাবারের ছবি যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রদর্শন মন্দ কাজের একটি। এ অনর্থক কাজ এড়িয়ে চলা ঈমান ও আমলের একান্ত দাবি।সুতরাং রমজানসহ পরবর্তী সময়েও ইবাদতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো কাজের খাবারের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ইবাদতকে মূল্যহীন করা থেকে বেঁচে থাকা জরুরি।মুসলমানদের রমজানের শিক্ষা ও ফজিলত লাভে জর্ডানের রাষ্ট্রীয় ফতোয়া বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত ফতোয়া নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।

ad

পাঠকের মতামত