296264

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা অন্তত ৩২ করার সুপারিশ রওশনের

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা অন্তত ৩২ করার সুপারিশ করেছেন প্রধান বিরোধী দলীয় উপনেতা বেগম রওশন এরশাদ।মঙ্গলবার সংসদে সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ সুপারিশ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে রওশন এরশাদ বলেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ না করে ৩২ করলে ভালো হয়। প্রধানমন্ত্রী, আপনি তো একজন মা। আপনি চিন্তাভাবনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

এর আগে গত ২৫ এপ্রিল সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়াতে সংসদ অধিবেশনে আনা সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। ওই দিন রাতে সংসদের বেসরকারি দিবসে বগুড়া-৭ থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র এমপি মো. রেজাউল করিম বাবলু প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। সরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করা হোক- লিখে প্রস্তাবটি আনেন তিনি।

তার এ প্রস্তাবে ১০ সংসদ সদস্য সমর্থন দিয়ে সংশোধনী দেন। এর মধ্যে রুস্তম আলী ফরাজী (পিরোজপুর-৩) অবসরের বয়সসীমা ৬২ করার জন্য সংশোধনী দেন। শহিদুজ্জামান সরকার (নওগাঁ-২) ‘অবিলম্বে’ শব্দ সংযোজন, ছলিম উদ্দিন তরফদার (নওগাঁ-৩) অবসরের সীমা ৬২ বছর, ইসরাফিল আলম (নওগাঁ-৬) ‘অবিলম্বে’ শব্দ সংযোজন, সংরক্ষিত নারী আসনে রওশনারা মান্নান ‘অবিলম্বে’ শব্দ সংযোজন, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১) অবসরের সময় ৬২ বছর, সংরক্ষিত নারী আসনের মোসাম্মৎ খালেদা খানম ‘অবিলম্বে’ শব্দ সংযোজন, মোহাম্মদ এবাদুল করিম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫) ‘অবিলম্বে’ শব্দ সংযোজন, মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান (মেহেরপুর-২) ‘অবিলম্বে’ শব্দ সংযোজন ও মোজাফফর হোসেন (জামালপুর-৫) অবসরের সীমা ৬২ করার প্রস্তাব দিয়ে বক্তব্য রেখেছেন।

এ প্রস্তাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির পরিস্থিতি এখন ভালো। এখন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত পড়ালেখা হচ্ছে। সেশনজট হচ্ছে না। ফলে একজন শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবন শেষের পর ৬ থেকে ৭ বছর পান। এ সময় তারা বহু চাকরির পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন।

এছাড়া আমাদের সংবিধান ও চাকরির বিধিমালায় আছে, ন্যূনতম ২৫ বছর চাকরি না করলে পূর্ণ পেনশন পাবেন না। সুতরাং কেউ যদি ৩৭ বছরে চাকরিতে যোগ দেন, ২৫ বছর পূর্ণ করতে হলে তাকে ৬২ অথবা ৬৩ বছর বয়সে অবসরে যেতে হবে। কিন্তু বর্তমানে আমাদের অবসরে যাওয়ার সময় ৫৯ বছর। সুতরাং তাকে আরো তিন-চার বছর চাকরি করতে হবে। কিন্তু আইন অনুযায়ী সে সুযোগ নেই। ফলে পূর্ণ পেনশন তিনি পাবেন না।

পেনশন পাওয়ার সময় নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেবে। তাছাড়া প্রতি বছর কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষার্থী বের হয়, তাদেরও চাকরির সুযোগ দেয়া দরকার। তাই অবসরের সময় যদি বাড়ানো হয় তাহলে নতুনরা চাকরি থেকে বঞ্চিত হবে। সে কারণে আপাতত সরকারি চাকরিতে বয়স বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই বলে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। এরপর তিনি প্রস্তাবটি প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। কিন্তু প্রস্তাবকারী স্বতন্ত্র এমপি তার প্রস্তাব তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানালে পরে ভোট দেয়া হয়। সংসদে আওয়ামী লীগের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় ভোটে প্রত্যাখ্যান হয় প্রস্তাবটি।

ad

পাঠকের মতামত