সোনাইমুড়িতে ফের স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ
নিউজ ডেস্ক।। সোনাইমুড়ীতে ফের স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় গত রোববার রাতে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ধর্ষিতার পিতা আরব আলী বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং ৩৪/১৯। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার শিবপুর গ্রামের নতুন বাড়ির আরব আলীর প্রবাসী ছেলে সোহাগের বন্ধু পরিচয়ে বাড়িতে এসে তার মেয়ের সঙ্গে আলাপ করে তার ভাইয়ের নাম্বার চাইলে সে মোবাইলটি দিয়ে বলে এই নাম্বারটি আমার ভাইয়ের। ভাইয়ের বন্ধু পরিচয়দানকারী আলমগীর হোসেন তার নাম্বারটি নিয়ে যায়।
পরে ফোন করে গত শনিবার রাত ৭টার দিকে মেয়েটিকে ঘরের বাইরে আসতে বলে। ফোন পেয়ে সে একা ঘর থেকে বের হলে ধর্ষিতার মুখে গামছা পেঁচিয়ে বাইরে একটি ধান ক্ষেতে নিয়ে যায়। পরে তাকে ধর্ষণ করে চলে যায়। শনিবার রাত ১১টার দিকে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজির পর তাকে ক্ষত-বিক্ষত ও অচেতন অবস্থায় খুঁজে পায়। নির্যাতিতা বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন একাডেমির ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। গত রবিবার এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ পিপিএম জানান, মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষা সমপন্ন করা হয়েছে। ডিএনএ পরিক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। প্রধান আসামী নদনা ইউনিয়নের হাটগাও গ্রামের ছিদ্দিক উল্যার ছেলে আলমগীর হোসেন (৩০)কে আটক করা হয়েছে। সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। অপর দিকে পাঁচ বাড়িয়া গ্রামের ভুঁইয়া বাড়ির মৃত মনা মিয়ার ছেলে মো. রাসেল (৩২)কে আটকের চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, ১৮ দিন আগে আরেকটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল সোনাইমুড়ীতে।
