295603

বকশীগঞ্জে কুড়িয়ে পাওয়া রাজকুমারীর ভাগ্য নির্ধারণ করবে আদালত

নিউজ ডেস্ক।। এক মাসেও বকশীগঞ্জে কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতক কন্যা শিশু রাজকুমারীর ভাগ্য নির্ধারণে আইনি লড়াই শেষ হয়নি। ভ্যানচালক থেকে শুরু করে হাই সোসাইটির একাধিক ব্যক্তি বা পরিবার ফুটফুটে রাজকুমারীর দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আইনি লড়াই অব্যাহত রেখেছেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত জামালপুরের বিজ্ঞ আদালত রাজকুমারীকে বকশীগঞ্জ সমাজসেবা অফিসের হেফাজতে রাখার আদেশ দিয়েছেন।

জানা যায়, ২৯ মার্চ বকশীগঞ্জ শ্মশান ঘাটে কে বা কারা ২ দিন বয়সী নবজাতক কন্যা শিশুকে রেখে পালিয়ে যায়। কান্নাকাটির শব্দ শুনে প্রতিবেশী আছর আলীর স্ত্রী সন্ধি বেগম শিশুটিকে নিজ বাড়িতে নিয়ে প্রাথমিক পরিচর্যা করেন। বকশীগঞ্জ থানার পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। কুড়িয়ে পাওয়া ফুটফুটে নবজাতক শিশুটির নাম রাখা হয় রাজকুমারী।

এই নিয়ে ২৯ মার্চ ইত্তেফাকের অনলাইন সংস্করণে একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশ হয়। প্রকাশিত সংবাদটি ভাইরালে হয়। সংবাদটি প্রকাশের পর ভ্যানচালক থেকে হাই সোসাইটির একাধিক ব্যক্তি বা পরিবার তার সার্বিক দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন। কিন্তু আদালতের আদেশ ছাড়াই স্থানীয় পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর রহিমা বেগম এক ভ্যান চালকের পরিবারে রাজকুমারীকে তুলে দেন। এরপর অ্যাডভোকেট ইসমাইল হোসেন সিরাজি বিষয়টি আদালতকে অবহিত করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে রাজকুমারীকে বকশীগঞ্জ সমাজসেবা অফিসের হেফাজতে রাখার আদেশ দেন।

ইসমাইল হোসেন সিরাজি জানান, বে-আইনিভাবে যে পরিবারে রাজকুমারীকে দেওয়া হয়েছিলো সে পরিবারের সদস্যরা অশিক্ষিত, পেশাদার জুয়াড়ি ও পেশায় ভ্যান চালক। সেই পরিবারে রাজকুমারীর ভবিষ্যৎ অন্ধকার। তাই একটি উপযুক্ত পরিবারে রাজকুমারীকে হস্তান্তরের জন্য আইনি লড়াই অব্যাহত রেখেছি। বকশীগঞ্জ সমাজসেবা অফিসার নিয়ামত আলী জানান, আদালতের আদেশে ভ্যান চালকের পরিবারের কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের আদেশ ছাড়া শিশুটির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। উৎস: ইত্তেফাক।

ad

পাঠকের মতামত