292767

নুসরাতের বুক চেপে ধরে মণি, কেরোসিন ঢালে জাবেদ

ফেনী প্রতিনিধিঃ মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের পর অগ্নিদগ্ধ করে হত্যায় জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে কামরুন নাহার মণি ও জাবেদ হোসেন। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহমেদের আদালতে শুরু হয় তাদের জবানবন্দি নেয়া। শেষ হয় রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে। রাত ১০টার দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল বলেন, বিজ্ঞ আদালতে কামরুন নাহার মণি ও জাবেদ হোসেন হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিল বলে স্বীকার করছে।

‘জবানবন্দিতে তারা স্বীকার করে, নুসরাত জাহান রাফিকে ছাদে নিয়ে যাওয়ার পর শাহাদাত হোসেন শামীম ও নুর উদ্দিন মেঝেতে শুইয়ে ফেললে মনি তার বুক চেপে ধরে ও জাবেদ হোসেন তার গায়ে কেরোসিন ঢালে’। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এ মামলায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজও রানা ও মামুন দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের রোববার আদালতে তোলা হবে। এদিকে পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, তাদের তদন্ত দলের কাজ শেষ। সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

সিআইডির কুমিল্লা পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমাদের তদন্ত আপাতত শেষে, সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারব’। শনিবার দুপুরে চার দিনের তদন্ত শেষে নুসরাত হত্যার ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি তদন্ত করে তারা। বুধবার সকাল থেকে পুলিশ সদর দপ্তরের পাঁচ সদস্যের তদন্ত দল সোনাগাজীর ঘটনাস্থল, নুসরাতের পরিবার, মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কর্মচারীদের মতামত নেয়। এ সময় তদন্ত দল পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে।

তারা বিভিন্ন জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে। ঘটনার পর সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মোয়াজ্জেমের কর্মকাণ্ডও তদন্ত করা হয়েছে। ৫ সদস্যের তদন্ত দলে নেতৃত্বে ছিলেন পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড প্ল্যানিং এস এম রুহুল আমিন, একজন পুলিশ সুপার, দুজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও একজন পরিদর্শক।

ad

পাঠকের মতামত