291850

মাহাথির ‘ওল্ড ওয়ারহর্স’, ইমরান খান রকস্টার

ডেস্ক রিপোর্ট।। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ হলেন ‘ফরমিড্যাবল ওল্ড ওয়ারহর্স’ বা পুরনো দুর্দান্ত এক যুদ্ধের ঘোড়া। তিনি বয়সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। এ যুদ্ধ করতে যুবক হতে হয় না। অন্যদিকে পাকিস্তান যখন সঙ্কটকালীন অবস্থায় তখন এর হাল ধরেছেন ইমরান খান। তিনি একজন রকস্টার। সমালোচকরা বলেন, তিনি সেনাবাহিনী, কট্টর ইসলামপন্থিদের ঘনিষ্ঠ। বিশ্ববিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন তাদের বর্ষসেরা প্রভাবশালী ১০০ জনের যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে এই দুই রাজনীতিক সম্পর্কে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে আছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প, প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিনদা আরডেন, ভেনিজুয়েলায় স্বঘোষিত অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হুয়ান গাইদো, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদ, স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুয়েলার, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা, চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং, মার্ক জাকারবার্গ, মুকেশ আম্বানির নাম। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা এ অঞ্চলের অন্য কোনো রাজনীতিকের নাম নেই এতে।

ড. মাহাথির মোহাম্মদ গত বছর ৯ই মে নির্বাচনে ঐতিহাসিক এক বিজয়ের মধ্য দিয়ে আবার ক্ষমতায় ফিরেছেন। তার জীবনীর সংক্ষিপ্তসার টাইম ম্যাগাজিনে লিখেছেন সারাওয়াক রিপোর্টের সম্পাদক ক্লারে রিউক্যাসল ব্রাউন। এতে তিনি মাহাথির মোহাম্মদকে ৯৩ বছর বয়সী অনুকরণীয় এক দুর্দান্ত পুরনো দিনে যুদ্ধে ব্যবহৃত ঘোড়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন। নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি ঝলসে ওঠেন। বলা হয়, লড়াই করার শক্তির জন্য কাউকে যুবক হওয়ার প্রয়োজন নেই। তিনি অবসর থেকে বেরিয়ে এসে তার সাবেক উত্তরসূরি নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণায় নামেন গত বছর। নৈতিকতার প্রচারে তিনি ৯২ বছর বয়সে ভূমিধস নির্বাচনী বিজয়ের মাধ্যমে ক্ষমতায় ফেরেন। এখন তার বয়স ৯৩ বছর। তিনি সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা আনোয়ার ইব্রাহিমের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দেশটিতে কর্তৃত্বপরায়ণতা শিকড় গেঁড়ে বসেছিল। সেখানে তিনি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছেন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নিয়ে প্রতিবেদন লিখেছেন আহমেদ রশিদ। তাতে বলা হয়েছে, ইমরান খান ১৯৯২ সালে ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ জিতেছেন। তিনি লাহোরে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বিশ্বমানের একটি ক্যান্সার হাসপাতাল। যেসব শিশু কোনোদিন পড়াশোনার কথা চিন্তা করতে পারতো না তাদের জন্য তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন একটি বিশ্ববিদ্যালয়। ২০ বছর আগে প্রবেশ করেছেন রাজনীতিতে। এখন তিনি দরিদ্র এই দেশটির প্রধানমন্ত্রী। যে দেশ তার বিল দিতে পারে না। তারা চীন ও আরব উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর মতো ধনী প্রতিবেশীদের ওপর নির্ভর করে। তার উচ্চাভিলাষ থাকলেও তিনি মাথা ঠা-া রাখেন। বুঝে শুনে কথা বলেন। উৎস: মানবজমিন।

ad

পাঠকের মতামত