
নিজের স্ত্রীকে জোরপূর্বক অশ্লীল ভিডিও করে হুমকি, স্বামী কারাগারে
পরশুরাম প্রতিনিধিঃ ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় স্ত্রীর দায়ের করা পর্নোগ্রাফি মামলায় জহিরুল ইসলাম নামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার পূর্ব সাহেব নগর গ্রামের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জহিরুল ইসলাম নামে ওই শিক্ষক পরশুরাম উপজেলার পূর্ব সাহেব নগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পূর্বসাহেব নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা ইডেন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীকে বিয়ে করেন জহিরুল ইসলাম। বিয়ের পর দিন জহিরুল ইসলাম তার বড় ভাইয়ের স্ত্রীর কাছে মুঠোফোনে ইমুর মাধ্যমে বাসর রাতের বেশকিছু আপত্তিকর বিষয় ম্যাসেজে আদান-প্রদান করেন। গত ১৭ মার্চ জহিরুল ইসলামের সঙ্গে তার ভাবীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান তার স্ত্রী। কিন্তু দেবর-ভাবীর সম্পর্কের বিষয় প্রকাশ না করতে গত ১৮ মার্চ স্ত্রীকে জোরপূর্বক অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
এই অভিযোগে ওই ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী বাদী হয়ে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ৮(১), ৮(২)-২০১২ ধারায় স্বামী জহিরুল ইসলাম ও তার ভাবীর বিরুদ্ধে পরশুরাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শওকত হোসেন বলেন, ‘মঙ্গলবার জহিরুল ইসলামকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু বুধবার আইনজীবীরা তার জামিনের আবেদন করলে আদালতে তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।’
বিবাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে স্কুল শিক্ষক জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।’