289616

নবীজিকে অমুসলিম বলল আরও এক বেদআতী বক্তা!

এক সময় শুধু সমাজের বুজুর্গ ও সাধক আলেমগণই ওয়াজ করতেন। কিন্তু এখন ওয়াজে পেশাদারিত্ব এসেছে। সুরেলা ব্যক্তিরা ওয়াজকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। ইলম তার যেটুকুইু হোক না কেনো এই প্রকারের অধিকাংশ বক্তাই তাদের জনপ্রিয়তা বাড়াতে আশ্রয় নেন নানা কৌশলের। তাদের কেউ বেছে নেন মনগড়া কিচ্ছা-কাহিনীর। আবার কেউ আশ্রয় নেন জ্ঞানহীন সুর ও গান। আবার এদের কেউ বেছে নেন হাসি-কৌতুক। তাদের হাসি-কৌতুক থেকে রক্ষা পায় না কোরআন-হাদিস থেকে শুরু করে নবী-রাসুল কেউ-ই। এমনই এক বেদআতী বক্তা আমজাদ হোসেন জালালী। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তৃতায় বলেন,

নবীকে যে ভাই বলে সে মুর্খ। নবীকে ভাই বলা যাবে না। যে নবীকে মুসলামান বলবে তার ইমান থাকবে না। “এক মুসলমান অরেক মুসলমানের ভাই”। নবী মুসলমান হলে তাকে ভাই ডাকতে পারবেন? ওহুদের ময়দানে নবীজির দাঁত মোবারক শহিদ হয়েছে। নবীজির শরীর থেকে রক্ত ঝড়েছে। অনেকে বলেন, সাহাবীরা নাকি নবীজির রক্তপান করেছেন। এক মানুষ হয়ে আরেক জনের রক্ত কীভাবে পান করেন? রক্ত পান করা তো হারাম। আর এই ঘোষণা নবী কারীম (সা.) দিয়েছেন।

উল্লেখ্য যে, জনসাধারণের কাছে দীনের দাওয়াত পৌঁছুনোর একটি বড় মাধ্যম হল ওয়াজ মাহফিল ও বয়ান। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কার জীবনে সাহাবাদের বয়ান করতেন। ইসলামের বিধানাবলি তাদের সামনে তুলে ধরতেন।

জান্নাতের প্রতি আগ্রহ প্রদান করতেন এবং জাহান্নাম সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন করতেন। কিন্তু হচ্ছে উল্টোটা! এখন মানুষ বয়ান থেকে পরকালীন খোরাক পায় না, পায় কৌতুক গান আর অভিনয়। তাই অনেকেই মনে করেন, আমজাদ হোসেন জালালীর মতো ওয়ায়েজকে সাধারণ শ্রোতাদের এখনই বয়কট করা সময়ের দাবি।

ad

পাঠকের মতামত