289186

শেষ পর্যন্ত গ্রেফতারই হতে হলো অ্যাসাঞ্জকে

একের পর এক স্পর্শকাতর ও গোপন তথ্য ফাঁস করে আলোচনায় আসা ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ৭ বছর আগে গ্রেফতার এড়াতে সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি।

উইকিলিসক আলোচনায় আসর পর সুইডেনে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা হয়। ওই মামলায় গ্রেফতার ও যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানো ঠেকাতে তিনি লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নেন; কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে গ্রেফতারই হতে হলো। অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত অ্যাসাঞ্জ পেশায় একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার। দীর্ঘদিন কাজ করেছেন মার্কিন সরকারের সাথেও।

লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, আদালতে আত্মসমার্পন না করার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো বলেছেন, বারবার আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করার কারণে তারা অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করেছে। মূলত এরপরই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।তবে এক টুইটারে উইকিলিকস জানিয়েছে, বেআইনিভাবে অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করেছে ইকুয়েডর। তিনি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেননি।

গ্রেফতারের কথা উল্লেখ করে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভেদ টুইটারে লিখেছেন, ‘আমি নিশ্চিত জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ এখন পুলিশের হাতে এবং যথাযথভাবে ব্রিটিশ বিচার ব্যবস্থার মুখোমুখী তিনি। সাজিদ জাভেদ আরো লিখেছেন, ‘আমি ইকুয়েডরকে ধন্যবাদ দিতে চাই তাদের সহযোগিতার জন্য। ব্রিটিশ মেট্রো পুলিশকে ধন্যবাদ পেশাদারিত্বের জন্য। কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়’।অনলাইনে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে দূতাবাস থেকে বের করে অ্যাসাঞ্জকে গাড়িতে তুলছে লন্ডন পুলিশ।

৪৭ বছর বয়সী জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নেয়ার পর থেকেই দূতাবাস ত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। তিনি বলছেন, দূতাবাস থেকে বের হলে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠাবে পুলিশ এবং হাতে পেলে উইকিলিকসের কাজের জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যুক্তরাষ্ট্র।২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত উইকিলিকস আলোচনায় আসে ২০১০ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক গোপন নথি প্রকাশ করে যা দেশটির রাজনীতিকে রীতিমতো নাড়িয়ে দেয়।

ad

পাঠকের মতামত