288912

দুই ছাত্রী ধর্ষণ নিয়ে যা বললেন আওয়ামী লীগ নেতা

মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ দুই মাদ্রসাছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে মীমাংসার নামে অর্থের বিনিময়ে তার নাম উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রচার করা হচ্ছে। তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে একটি মহল এই অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে দাবি করেছেন মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মতিন মোল্লা। বুধবার দুপুরে নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, এই ধর্ষণের ঘটনায় কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে আমি জড়িত। তাহলে আমি নিজেই আমার বিচার দাবি করছি। নয়তো যারা এর সাথে জড়িত আমি তাদের বিচার দাবি জানাই। সংবাদ সম্মেলনে মতিন মোল্লা আরো বলেন, গত ৪ এপ্রিল কালকিনি উপজেলার ভাঙ্গাব্রিজ এলাকায় দুই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হলে থানায় মামলা হয়। কিন্তু ব্যক্তিগত সুবিধার্থে একটি মহল তিন লাখ টাকায় ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার হচ্ছে বলে আমরা নাম ব্যবহার করেছে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। যা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, প্রতিপক্ষ ও একটি কুচক্র মহল ধর্ষণের ঘটনার মোড় উল্টো দিকে ঘুরাতে আমার নাম ব্যবহার করছে। এছাড়াও ওই মহলটি ডাসার থানার এসআই দেলোয়ারের সাথে আমার যোগসূত্রের কথা বলছে। কিন্তু এই ঘটনায় এই এসআইয়ের সাথে আমার কোনো সাৎক্ষাতই হয়নি। তার বিষয় আমি কিছুই জানিও না। যারা না জেনে বুঝে আমার কথা বলছে তাদের প্রতি তিনি নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

মতিন মোল্লা বালিগ্রাম ইউনিয়ন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি আরো জানায়, গত ৪ এপ্রিল অপ্রীতিকর অবস্থায় দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এরপর স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই দুই কিশোরীর কথা শোনে। এরপর পুলিশ আইনি প্রক্রিয়ায় পরের দিন রাতে চার তরুণকে অভিযুক্ত করে মামলা নেয়। মতিন মোল্লা বলেন, মামলা হওয়ার আগে ওই দুই কিশোরীর পরিবার আমার কাছে আসে। এবং এই ঘটনায় আমি তাদের বিস্তারিত বলতে বলি। পরে তারা বিস্তারিত না জানায় পর দিন সকালে আমার কাছে আসার কথা। এরপর তারা আর আমার কাছে আসেনি। পরে আমিও আর খবর নিইনি।

ধর্ষণের ঘটনায় মামলার বাদি বলেন, আমি মামলা বুঝি না। তাই গ্রামের মাদবরদের কাছে এসেছিলাম বিচার পেতে। কিন্তু পরে পুলিশ আমাকে থানায় নিয়ে টিপসই দিয়ে বললো মামলা হয়ে গেছে। এরপর থেকে আমি তো কিছুই জানি না। ডাসার থানার কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া বলেন, এ ঘটনায় একটু দেরিতে মামলা হয়। এছাড়াও এলাকার লোকজনের কারণে আসামিরা দ্রুত পালিয়ে গেছে। আসামি গ্রেপ্তারে আমরা অভিযান চালাচ্ছি, এদিক দিয়ে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আশা করছি আমরা খুব দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারবো।

উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল মাদারীপুরের কালকিনিতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুই মাদ্রাসাছাত্রীকে দুইদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল সাবেক ইউপি সদস্যের ছেলে ও তার চার বন্ধুর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ডাসার থানার উপপরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন ও বালিগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিন মোল্লা বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ ওঠে। তবে এ অভিযোগ তারা অস্বীকার করেন।

ad

পাঠকের মতামত