288166

সোনাগাজী থানার সকল পুলিশের বদলি চায় এলাকাবাসী

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আলীম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফীর গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ঘটনায় রাফীর ভাই মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় একটি দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট নয় এলাকাবাসী।

এলাকাবাসীর বক্তব্য অনুযায়ী এ ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি আছে। তাদের প্রশ্ন ‘এমনকি নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার সময় পরীক্ষা কেন্দ্রে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলো। তাদের সামনে দিয়ে আগুন দিয়ে দুষ্কৃতিকারীরা কিভাবে পালিয়ে যায়!’ এলাকার জনগণের বক্তব্য, ‘দপ্তরী, নৈশ প্রহরী এবং পরীক্ষার সময় গেইটে যে সকল পুলিশ সদস্য ছিল তাদের সকলকে ঢাকার গোয়েন্দা দপ্তরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে থলের বিড়াল আপনাআপনি বেরিয়ে আসবে।’

স্থানীয় জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছে, ‘এই ঘটনার দীর্ঘ ৩দিন হতে চললেও সোনাগাজী থানার পুলিশ কচ্ছপ গতিতে এগুচ্ছে। এ পর্যন্ত নির্দিষ্ট অভিযোগে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করে শুধুমাত্র আইওয়াশ করার জন্য আটকের নাটক করে যাচ্ছে। এটি বড়ই দুঃখের বিষয়।’ পুলিশের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয়রা বলছেন, ‘সোনাগাজী থানার পুরো পুলিশ প্রশাসনের ওপর এলাকার জনগণের আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। এই মুহূর্তে উপজেলার শান্তি শৃঙ্খলার স্বার্থে এই থানার পুরো টিমকে অন্যত্র বদলি করে নতুন পুলিশ কর্মকর্তাদের আনা প্রয়োজন।’

সোনাগাজী থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছে এলাকাবাসীর দাবি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকটা বিষয় আন্তরিকতার সঙ্গে দেখছি। আমরা পরিবারকে বলেছি যেন কোনো হুমকি পেলেও আমাদের জানানো হয়। অথচ পরিবার থেকে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তারা মিডিয়ার কাছে অভিযোগ করেছে যে, তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমাদের কাছে অভিযোগ করা হচ্ছে না!

ঘটনার পর আমার কনস্টেবল সবার আগে গিয়ে নুসরাতকে রক্ষা করে। সেই কনস্টেবলের হাতে ফোসকা পড়ে গেছে। সে কোলে করে দ্রুত নুসরাতকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমরা সবার আাগে গিয়ে তাকে রক্ষা করেছি। আমরা তাকে কোলে করে হাসপাতালে দিয়েছি। আমরা তাকে ঢাকা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছি। তখন সবাই পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেছে। এখন কিভাবে তারা আমাদের বদলি দাবি করে! আমাদের বদলি দাবি করলে তো আমাদের নামে এতক্ষণে মানববন্ধন হতো, বিক্ষোভ মিছিল হতো!’

‘দুষ্কৃতিকারীরা পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে আগুন লাগিয়ে আবার বের হয়ে গেলো! তারা কিভাবে ঢুকলো, কিভাবে বের হলো? পরীক্ষা কেন্দ্রে কি পুলিশ ছিলো না?’ এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারটি তদন্ত করছি। এমনকি এডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ আবুল ফয়েজ (অপারেশন অ্যান্ড ক্রাইম) গতকাল এসে এলাকা ঘুরে তদন্ত করে গেছেন।’ অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার প্রধান অনুগত নুর উদ্দিনকে এখনও গ্রেফতার করা হলো না কেন জানতে চাইলে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘নুর উদ্দিনকে ধরার জন্য আমাদের ফোর্স চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু সে এলাকায় নেই। তাকে পেলেই গ্রেফতার করা হবে।’

ad

পাঠকের মতামত