288180

বর্বর স্বামীর কাণ্ড!

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মানিকগঞ্জে স্বামীর ঢেলে দেয়া গরম পানিতে ঝলসে গেছে অন্তঃসত্ত্বা লতা আক্তারের (১৯) শরীর। হাসপাতালে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তিনি।এ ঘটনায় সোমবার লতার বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।লতার বাবা বিশা খাঁ জানান, এক বছর আগে সদর উপজেলা বেউথা গ্রামে আব্দুল বাতেনের ছেলে সুজন মিয়ার (২৩) সাথে তার মেয়ে লতা আক্তারের বিয়ে হয়।

পেশায় রাজমিস্ত্রি সুজন বিয়ের পর থেকে তার মেয়েকে নানা অজুহাতে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করে আসছে। বর্তমানে তার মেয়ে সাড়ে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। রোববার দুপুরে সুজন মিয়া গোসল করার জন্য গরম পানি করতে বলে স্ত্রী লতাকে। গরম পানি হওয়ার পর সুজন গোসলের করতে গেলে গামছায় ময়লা থাকার অজুহাতে প্রথমে স্ত্রী লতা আক্তারকে মারধর করে। এক পর্যায়ে গরম পানি শরীরে ঢেলে দেয়। এতে লতার পিট ও দুই হাত ঝলসে যায়।

খবর পেয়ে সন্ধ্যায় বিশা খাঁ তার মেয়েকে সুজনদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি মেয়ের সাথে এমন আচরণ করায় সুজনের শাস্তি দাবি করেন।লতা আক্তার জানান, প্রায় সময় নানা অজুহাতে তার স্বামী সুজন তাকে মারধর করে। রোববার তাকে হত্যার উদেশ্যে শরীরে গরম পানি ঢেলে দিয়েছে।

মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) লুৎফর রহমান জানান, গরম পানিতে ওই গৃহবধুর ৩০ ভাগ শরীর ঝলসে গেছে। বর্তমানে শংকামুক্ত থাকলেও এ ধরনের রোগীকে ৭২ ঘণ্টা পযবেক্ষণে রাখা হয়।সদর থানার ওসি রকিবুজ্জমান জানান, শরীরে গরম পানি ঢেলে দেয়ার অভিযোগে লতা আক্তারের বাবা একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পরই হাসপাতালে ও ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আসামি সুজন মিয়াকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ad

পাঠকের মতামত