287676

মেয়েটির ডানপাশে দেখলাম একজন ঘষাঘষি করছেন , একটু পর পর মোবাইল বের করছেন…

গা ঘেষে দাঁড়ানো নিয়ে ফেসবুকে বেশ ঘষাঘষি হচ্ছে। এক দল দেখলাম মেয়েদের গা ঘেষে দাঁড়ানোকে অধিকারের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। তাদের জন্য একটা ঘটনা বলি শুনেন। আমি প্রতিদিনই বাসে যাতায়াত করি। সেদিনও বাসে অনেক ভির। স্বাভাবিকভাবেই গা ঘেষেই দাঁড়াতে হচ্ছে। আমার গা ঘেষে যেই মেয়েটি দাড়িয়ে আছে সে মোটামুটি চিত্তে দোলা লাগার মতো সুন্দরী। মনে কবিতা এসে যায় এমন।

মেয়েটির ডানপাশে দেখলাম একজন ঘষাঘষি করছেন , একটু পর পর মোবাইল বের করছেন আবার পকেটে রাখছেন। মনে হচ্ছে তিনি মোবাইল বের করার উসিলায় কিছু ছুঁয়ে দিতে চাচ্ছেন। আর প্রতিবারই মেয়েটি অস্বস্তি নিয়ে আমার দিকে চেপে আসছে। আমি যতটুকু সম্ভব জায়গা করে দিলাম। কিন্তু মোবাইল ম্যানের আরো জায়গা প্রয়োজন। প্রতি মিনিটে তিনি মোবাইল বের করছেন।  ময়নার মা ঠিকমতো ভাত রাধে কিনা এমন টাইপ কথাবার্তা বলছেন। যা অন্য সময়ে বললেও চলতো।

ইচ্ছাকৃত আর অনিচ্ছাকৃতের পার্থক্য আমরা বুঝি, মেয়েরা হয়তো আরো ভালো বোঝে। এক সময় মেয়েটি বাধ্য হয়ে আমার দিকে ঘুরে গেল। তাতে মোবাইল ম্যানের একটু জায়গা হওয়ার কথা। কিন্তু হয়নি। অবস্থা বুঝে মেয়েটাকে আমার বাম পাশে যেতে বলে আমি ডানপাশে দাঁড়ালাম। মেয়েটি আমার দিকে তাকিয়ে কৃতজ্ঞতার হাসিসহ একটা ধন্যবাদ দিলো।

তখনও ঘষাঘষি ছিলো। কিন্তু ভদ্রলোক ! আর একবারও মোবাইল বের করেননি। এটা যে নোটিস করার মতো বিষয় নেই হুশও তার ছিলোনা। তিনি ঘষাঘসি করে যে যা পেতে চেয়েছেন তার দশগুন আমি পেয়েছি মেয়েটির হাসির মাধ্যমে। আমি কেন বীরপুরুষের মতো প্রতিবাদ করলাম না? টেকনিকে কাজ হয়ে গেলে ভায়োলেন্সের দরকার কি? আর বাসের সবাই যে আমার সাপোর্ট করবেন এমন তো না। এই পোস্টেই তো অনেকে আমার সাপোর্ট করবেন না। কারণ, তারা চান ঘষাঘষি। ফেসবুক থেকে

ad

পাঠকের মতামত