287782

পরিবারসহ কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড যাওয়ার সুযোগ, এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জেনে নিন

২০১৮-২০১৯ সালকে বলা হচ্ছে ইমিগ্রেশনের জন্য সোনালী সময়। সারা পৃথিবী থেকে সর্বাধিক সংখ্যক লোকজন চলতি ও আগামী বছর ইমিগ্রেন্ট হয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোতে স্থায়ীভাবে বসবাস ও চাকরি করার সুযোগ পাবেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স, আর্থিক সামর্থ্যের মাপকাঠিতে নির্ধারণ হবে আপনার স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু? এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী, আন্তর্জাতিক অভিবাসন ও কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ, সাউথ এশিয়ান ল’ ইয়ার্স ফোরামের সভাপতি এবং ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নাগরিকদের মাইগ্রেশন সুবিধা দিয়ে আসছেন। আপনি আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এবং কিছু পদ্ধতি ও আইন মেনে আবেদন করে পরিবারসহ মাইগ্রেশন করার সুযোগ নিতে পারেন।

গন্তব্য হতে পারে কানাডা-পৃথিবীর সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী দেশগুলোর একটি কানাডা। কানাডায় যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণের এখনই সময়। নতুন ইমিগ্রেন্টদের জন্য এরই মধ্যে কানাডার ফেডারেল এবং প্রোভিনশনাল সরকার তাদের কর্ম পদ্ধতি অনুযায়ী কাজ শুরু করেছে। ৬০টির ওপর কানাডায় ইমিগ্রেশন করার পদ্ধতি রয়েছে। প্রফেশনালদের জন্য অনেকগুলো ক্যাটাগরি রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো ফেডারেল ও কুইবেক স্কিল প্রোগ্রাম, প্রভিনশনাল নমিনি প্রোগ্রাম, কানাডিয়ান এক্সপেরিয়েন্স ক্লাস, ফেডারেল সেলফ এমপ্লয়েড প্রোগ্রাম। এছাড়া রয়েছে ফ্যামিলি ক্লাস স্পন্সরশীপ প্রোগ্রামস।

কানাডায় সর্বাধিক সংখ্যক আবেদনকারী এফএসডাব্লিউ অ্যান্ড এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রামে আবেদন করছে। তাছাড়া বিপুল সংখ্যক লোকজন বিভিন্ন পিএনপি প্রোগ্রামের মাধ্যমে নমিনেশন নিয়ে কানাডায় নাগরিকত্ব গ্রহণ করছে। অনেকগুলো পিএনপি প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। তাই দেরি না করে ভালো ইমিগ্রেশন আইনজীবীর সহায়তা নিয়ে জেনে নিন আপনি যোগ্য কিনা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে সঠিকভাবে ফাইল জমা দিন। কমপক্ষে ডিগ্রি পাস, দুই বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা ও ইংরেজি ভাষার চুড়ান্ত দখলের সার্টিফিকেট থাকলেই আপনি আবেদন করতে পারবেন। ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের মাধ্যমে চাকরি ও কাজের অনুমতি দুটোই মিলবে বাংলাদেশ থেকে।

কাজ করার জন্য অস্ট্রেলিয়া-অস্ট্রেলিয়ায় বৈধভাবে কাজ করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত প্রোগ্রাম সাব-ক্লাস-৪৮২। এই ভিসার ক্ষেত্রে ভিসাপ্রার্থীকে অবশ্যই টিএসএস ভিসার পেশা তালিকার জন্য একটি অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মনোনীত হতে হবে। এই ভিসার জন্য আইইএলটিএসে প্রতিটি ব্যান্ডে ৫ বা সমমানের ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে। সাবক্লাস ৪৮২ সম্পর্কে শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মূলত ডিগ্রি পাসধারী দক্ষ ও অভিজ্ঞ বাংলাদেশিদের জন্য এটা বিরাট সুযোগ। বাংলাদেশিরা যদি প্রথম থেকেই দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে ফাইল প্রসেস করে তবে স্বল্প সময়ে এই ভিসা পাওয়া নিশ্চিত। তিনি আরও বলেন, যেহেতু অস্ট্রেলিয়া ডিমান্ড লিস্টে ৪৩২টি পেশা রয়েছে সুতরাং অনেকেই বিভিন্ন সাবক্লাসে আবেদন করে পরিবারসহ অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করার সুযোগটি নিতে পারেন।

এমপ্লয়ার স্পন্সরশীপ-অস্ট্রেলিয়ান কোনও চাকরিদাতা যদি আপনাকে স্পন্সর করতে ইচ্ছুক হয় তবে আপনার ভাগ্য খুলে গেল। এটি জোগাড় করা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। এখানে অনেক ধরনের ভিসা হয়। সঠিক ভিসা খুঁজে পাওয়ার ওপর সবকিছু নির্ভর করে। কোন ধরনের ভিসার জন্য আপনি উপযুক্ত তা সঠিক ও বিস্তারিতভাবে জানাটা সবচেয়ে জরুরি। এ বিষয়ে অভিজ্ঞ ইমিগ্রেশন আইনজীবীর পরামর্শ গ্রহণের কোনও বিকল্প নেই। এ ভিসায় প্রশিক্ষণটি দুইভাবে হতে পারে। সরাসরি একই পেশায় অস্ট্রেলিয়ায় কাজ করার মাধ্যমে অথবা কোনো প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে। কার্যকরী ইংরেজি ভাষা দক্ষতা (আইইএলটিএসে ৪.৫) থাকতে হবে। ১৮ বছর বয়সী বা তার ঊর্ধ্বে হতে হবে।

এমপ্লয়ার নমিনেশন স্কিম-স্থায়ীভাবে পরিবারসহ এ স্কিমে আবেদন করে বসবাস ও কাজ করা যায়। নাগরিকত্ব লাভ করা সম্ভব। অস্ট্রেলিয়ায় দুই বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হয়।

স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য অস্ট্রেলিয়া-সাব-ক্লাস ১৮৯, স্কিল্ড ইন্ডিপেনডেন্ট ভিসা। বিষয়টি সম্পূর্ণ পয়েন্টের ওপর নির্ভর করে। মোট ৬৫ পয়েন্ট প্রয়োজন হয়। পয়েন্ট পাওয়া যায় বয়স, কাজের অভিজ্ঞতা, পড়াশোনা, ভাষার ওপর চ‚ড়ান্ত দখলের ওপর।

স্কিল্ড নমিনেটেড ১৯০ ভিসা-এই প্রোগ্রামটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। এতে আবেদনের জন্য শর্ট লিস্টেড পেশাজীবী হতে হবে। টেরিটরি থেকে স্পন্সরশীপ থাকতে হবে যা পাওয়া খুব কঠিন কাজ নয়। স্কিল্ড রিজিওনাল ভিসা (সাব-ক্লাস ৪৮৯) রিজিওনাল এলাকায় দুই বছরের পড়াশোনার অভিজ্ঞতা। আইইএলটিএসে কমপক্ষে ৬ স্কোর থাকতে হবে। পড়াশোনার পর রিজিওনাল এলাকায় এক বছরের কাজের অভিজ্ঞতা। চাকরিদাতার বর্তমান কাজের ঠিকানা, কাজের ধরন ও অভিজ্ঞতার সময়কাল, পড়াশোনার যোগ্যতা, চাকরির ধরন ও বেতনের ওপর পুরো বিষয়টি নির্ভর করে।

রিজিওনাল স্পন্সরড মাইগ্রেশন স্কিম-স্কিল অ্যাসেসমেন্টের প্রয়োজন হয় না। বয়স ৪৫ বছরের নিচে হতে হবে। চাকরিদাতার দায়-দায়িত্ব এই ক্ষেত্রে কিছুটা কম। স্থায়ী নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব। রিজিওনাল এরিয়া থেকে জব অফারের প্রয়োজন হয়। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসনের জন্য সততা ও দক্ষতার কোনো বিকল্প নেই।

সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে ভিসা প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও কোনও জটিলতা তৈরি হয় না। অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশন সম্পর্কে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘চলতি বছর প্রচুর দক্ষ লোকের প্রয়োজন পড়বে। আমরা যদি সঠিকভাবে ও যোগ্য লোক বাছাই করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আবেদন করতে পারি, তবে সবাইকে পেছনে ফেলে আমরাই অস্ট্রেলিয়ার শ্রমবাজারটি দখল করতে পারব। বাংলাদেশের সেই দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে।’

এক্ষেত্রে সবাইকে প্রতারকদের হাত থেকে সাবধানে চলার জন্য তিনি উপদেশ দেন। অস্ট্রেলিয়া মাইগ্রেশনের একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি ভিসা নিয়ে আগমনের সঙ্গে সঙ্গে আপনার সন্তানরা কিন্তু প্রতিমাসে সোশ্যাল বেনিফিট পাওয়া শুরু করবে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দেশটির বিনামূল্যের স্বাস্থ্যসেবা পরিবারের সব সদস্যের জন্য।

শান্তির দেশ নিউজিল্যান্ড-নির্দিষ্ট সময় পর পর স্কিলড মাইগ্রেশন ক্যাটাগরিতে ড্র অনুষ্ঠিত হয়। বছরে প্রায় কয়েক হাজার পরিবার এ প্রোগ্রামের আওতায় নিউজিল্যান্ডের স্থায়ী নাগরিকত্ব (পিআর) পেয়ে থাকেন। এই ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশিরাও নিউজিল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ নিতে পারেন। স্কিলড মাইগ্রেশন ক্যাটাগরি সম্পর্কেও এই আবেদনের শিক্ষাগত ও অন্যান্য যোগ্যতা সম্পর্কে জানানো হয় নিউজিল্যান্ডের সরকারি ওয়েবসাইটে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ আইনজীবীর সহায়তা গ্রহণ করতে পারেন। নিউজিল্যান্ডে সম্ভাব্য পেশার মধ্যে রয়েছে জেনারেল প্রাকটিশনার, প্যাথলজিস্ট, সাইকোথেরাপিস্ট, সোনোগ্রাফারসহ আরও কিছু খাত। নিউজিল্যান্ড সরকারের ওয়েবসাইটে দেশটিতে চাহিদা থাকা বিভিন্ন পেশার কথা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া স্টুডেন্ট ভিসা নিয়েও পড়াশোনা করতে পারেন দেশটিতে। পড়াশোনা করুন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেকে বিদেশে পড়াশুনা করতে চায় শুধু বিদেশি নাগরিকত্ব ও ভালো একটি চাকরির প্রত্যাশায়। আপনার সম্ভাবনাময় ভবিষ্যত গড়ে তুলতে ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেড হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ সোপান।

সাধারণত বাংলাদেশি ছেলে-মেয়েদের কাছে কানাডা অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইউকে, ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন, জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই থাকে পছন্দের শীর্ষে। ইঞ্জিয়ারিং, মেডিক্যাল, বিজনেস, আইটি, আইন ইত্যাদি যেকোনো বিষয়ে পড়াশুনা করতে পারেন। বিদেশে চাকরি নিয়ে যাওয়া বা পরিবারসহ বসবাস করা যাদের স্বপ্ন তারাই আইনগত সহায়তা ও পরামর্শ নেয়ার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডে ঢাকার উত্তরা অফিসে।

আপনি আগ্রহী থাকলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আন্তর্জাতিক অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ, ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করতে অথবা পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত পাঠাতে পারেন [email protected] এই ই-মেইলে। এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে www.wwbmc.com ঠিকানায়।

ad

পাঠকের মতামত