287635

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পুড়ে গেছে ঘরের সব, অক্ষত রইল পবিত্র কোরআন

নিউজ ডেস্ক।। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরনে আগুন ধরে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। চারজনের অবস্থা গুরতর। আগুনে ঘরের জিনিসপত্র পুড়লেও অক্ষত রয়েছে ঘরে থাকা পবিত্র কোরআন শরীফ। অলৌকিক এই ঘটনা ঘটেছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা গিরিধারা এলাকার এক বাড়িতে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের ঢাকা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ফতুল্লার গিরিধারা আবাসিক এলাকার বিসমিল্লাহ টুইনটাওয়ার ছয় তলা ভবনের চারতলায় আব্দুর রহিমের স্ত্রী ফাতেমা বেগম এলপি গ্যাসের চুলায় রান্না করতে যান। এসময় ম্যাচের কাঠি জ্বালোনোর সঙ্গে সঙ্গে সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে ছড়িয়ে পড়া গ্যাসের কারণে পুরো ঘরে আগুন ধরে যায়। আগুনে ফাতেমা বেগম (৩৫), তার ছেলে রাফি (১১) ও সাফওয়ান (৫) এবং মেয়ে ফারিয়া (৯) অগ্নিদগ্ধ হয়।

স্থানীয়রা আরও জানায়,আব্দুর রহিমের ঘরে তার সন্তানের বই খাতার পাশাপাশি পবিত্র কোরআন শরীফ রাখা ছিল। বইখাতা ও ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে গেলেও কোরআন শরীফ অক্ষত আছে। কোরআন শরীফের কোন অক্ষরও পুড়েন। নারায়ণগঞ্জ ফকির টোলা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মনির হোসেন বলেন, আল্লাহপাক পবিত্র কোরআন শরীফ নাজিল করেছেন। তিনিই তার রক্ষাকারী।  গুরুতর দগ্ধ ফাতেমা বলেন, ‘রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডারে লিকেজ ছিল। আমরা পাশের ঘর থেকে গ্যাসের গন্ধ পাচ্ছিলাম। হঠাৎ রান্না ঘরে বিস্ফোরণ হয়। গ্যাস ছড়িয়ে পড়ায় আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আর কিছু মনে নেই।

ফাতেমার স্বামী আবদুর রহিম জানান, তিনি একটি ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন। ঘটনার সময় তিনি বাসায় ছিলেন না। তার মেয়ে ফারিয়া স্থানীয় ডিলাইট স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে এবং ছেলে রাফি পড়ে পঞ্চম শ্রেণিতে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক ডা. সাইফুর রহমান জানান, ‘দগ্ধ ৪ জনের মধ্যে ৩ জনের প্রায় ৯৫ শতাংশ এবং একজনের প্রায় ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। অবস্থা খুবই ক্রিটিক্যাল। রিকভার করা প্রায় অসম্ভব।

ad

পাঠকের মতামত