286020

লজ্জা লাগে যখন শুনি, অবিভাবকরা প্রশ্ন পাওয়ার জন্য টাকা নিয়ে বসে আছেন : শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, যখন শুনি যে পরীক্ষার্থী ও তার অবিভাবকরা টাকা নিয়ে প্রস্তুত থাকে কোথাও প্রশ্ন পাওয়া যায় কি না, এটা শুনে লজ্জা লাগে। তবে এখন আর ইচ্ছা করে টাকা খরচ করেও প্রশ্ন পাওয়া যাবে না। সব বন্ধ করা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে ডিআরইউ সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপু মনি এসব কথা বলেন। এসময় একজন ডিআরইউ সদস্যের সন্তানের অনুরোধে তিনি নিজের শিক্ষাজীবনের গল্প শোনান।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, আমি যে স্কুলে (কলাবাগান স্কুল) পড়তাম, তার পেছনে একটি বিল ছিল। বর্তমানে ওই এলাকা এখন পান্থপথ বলে পরিচিত। স্কুলের জানালা দিয়ে বরশি ফেলে মাছ ধরতাম। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ওই স্কুলে পড়েছি। সেই স্কুলজীবনের স্মৃতি কোনোভাবেই ভুলতে পারি না। সেখান থেকে হলিক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তি হয়েছি। নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছি। হলিক্রসে পড়া অবস্থায় সব ধরনের কাজ করতে হয়েছে। স্কুল শিখিয়েছে, কোনো কাজ অসম্মানের নয়, ছোট নয়। যে কাজ নিজের, তাতে উঁচু-নিচু নেই।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান জাতীয় সংসদে হলিক্রস স্কুলের চার জন সংসদ সদস্য আমরা প্রতিনিধিত্ব করছি। আমি, সাগুফতা ইয়াসমীন এমিলি, সুবর্ণা মোস্তফা ও মাননীয় স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী। কিছু দিন আগে ওই স্কুলের পক্ষ থেকে আমাদের সংবর্ধনা দেয়। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। একটি হলরুমে সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থী ছিল।

বক্তব্য হয়েছে, অনেক কথা হয়েছে। কথার ফাঁকে ফাঁকে তালির শব্দ ছাড়া আর কোনো শব্দ হয়নি। একদম পিনপতন নীরবতা। এই শৃঙ্খলা আমরা শিখেছি। সেই একই শৃঙ্খলা শিক্ষার্থীদের এখনো শেখানো হচ্ছে। শৃঙ্খলা তোমাদেরও শিখতে হবে। শৃঙ্খলা না শিখলে জীবনে উন্নতি করা যায় না।

ডিআরইউ সদস্যদের প্রতি শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিশুদের ভবিষ্যত তৈরির জন্য সবাইকে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। যার যার জায়গা থেকে সততার মাধ্যমে কাজ করে যেতে হবে। আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আপনাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। শিশুদের শিক্ষার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে এ প্লাসের যে প্রতিযোগিতা চলছে, তাতে মানসিক চাপে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। এ প্লাসের মাঝখানে পড়ে শিশুদের শৈশব ও কৈশোরের আনন্দ বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

ad

পাঠকের মতামত