২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে মালয়েশিয়ার নিখোঁজ হওয়া সেই বিমান নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমান এমএইচ৩৭০ দুর্ঘটনার কবলে পড়েনি বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক একজন পাইলট। তার দাবি, বিমানটি সম্ভবত কোনো গোপন রানওয়ে লক্ষ্য করে উড্ডয়ন করছিল। র্যান্ডি রায়ান নামের এক্স-ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের ওই পাইলট বলছেন, আমি এটা বলছি এই কারণে যে চার বছরেও বিমানটির কোনো খোঁজ পায়নি অনুসন্ধানী দল।
তার ধারণা, বিমানটির ধ্বংসাবশেষ মাদাগাস্তকারে বিলীন হয়ে গেছে যেখানে বাকি অংশগুলো আশপাশের রি-ইউনিয়ন দ্বীপ (ভারত মহাসাগরে ফ্রান্সের একটি অংশ যা মূলত অগ্ন্যুৎপাতের জন্য বেশি পরিচিত) ও মৌরিতাশে পতিত হয়েছে। ২০১৪ সালে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে চীনের বেইজিং যাবার পথে নিখোঁজ হয়ে যায় মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের এমএইচ৩৭০ বিমানটি। সে বিমানটিতে ২৩৯ জন যাত্রী ছিল।
এ পর্যন্ত ২০টি টুকরো বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে যার মধ্যে সাতটি টুকরোকে নিখোঁজ বিমানের বলে মনে করা হচ্ছে। বিমানটির নিখোঁজ হওয়ার পেছনে একটি ‘বড় সুরঙ্গ দায়ী’ বলে আভাস দিয়েছেন সাবেক এই পাইলট। তবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে নারাজ তিনি। ধারণা করা হয়, বিমানটি সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে বিমানটির এ ধরনের দুর্ঘটনায় পড়ার কোনো সম্ভাবনায়ই নেই বলে জানিয়েছেন পাইলট র্যান্ডি রায়ান।
এর আগে অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া এবং চীনের তরফ থেকে এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, ভারত মহাসাগরে এক লাখ বিশ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা তল্লাশি করার পরেও নিখোঁজ সে বিমানটির কোন ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়নি। সূত্র: ডেইল মিরর