279583

রাত দুপুরে শপথ নিলেন দশ মন্ত্রী

ভারতের গোয়া রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিজেপি নেতা প্রমোদ সাওয়ান্ত। স্থানীয় সময় সোমবার দিনগত রাত ২টার দিকে তিনি শপথ নেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি ও আনন্দবাজার।মনোহর পারিকরের অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন প্রমোদ সাওয়ান্ত।উপমুখ্যমন্ত্রী পদে-ও শপথ নিয়েছেন দু’জন। তারা হলেন মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টির (এমজিপি) সুদিন ধাভালিকার এবং গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির (জিএফপি) নেতা বিজয় সরদেশাই। তাদের সঙ্গে শপথ নিয়েছেন আরও দশ মন্ত্রী।

যদিও প্রয়াত পারিকরের উত্তরাধিকার মনোনীত করা মোটেই সহজ ছিল না বিজেপি নেতাদের পক্ষে। মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য দাবি তুলেছিলেন বিজেপির দুই শরিক এমজিপি এবং জিএফপি। বিজেপির অন্দরেও মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে ছিলেন প্রমোদ এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রাণে।রোববার বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ি। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন এবং দুই শরিক দলে আস্থা অর্জনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সোমবার সন্ধ্যার পর গডকড়ি ইঙ্গিত দেন মুখ্যমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত গোয়ায় ছিলাম। কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন তা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। তবে শরিকদের নিয়ে কিছু সমস্যা ছিল।’

আপাতত শরিকদের উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব দিয়ে সন্তুষ্ট করলেও তাদের সমর্থনের চিঠি জোগাড় করতে বিজেপিকে যথেষ্টই কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। সোমবার রাতে এ নিয়ে দু’দফা বৈঠক করেন গডকড়ি।৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় বিজেপির বিধায়ক ১২ জন। গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি, এমজিপি এবং নির্দলের কাছে রয়েছে তিনজন করে বিধায়ক। অর্থাৎ, সবমিলিয়ে ২১ জন বিধায়ক রয়েছে বিজেপি জোটের।কংগ্রেসের রয়েছে ১৫ জন বিধায়ক। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে চারজন কম। মনোহর পাররিকরের মৃত্যুর পর এখন মোট চারটি বিধানসভা আসন খালি হয়ে গেল। দুটি বিজেপির ও দুটি কংগ্রেসের আসন।

২০১৭ সালে গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বৃহত্তম দল হিসাবে জেতার পর ঝুলন্ত বিধানসভা হয়ে যায়। ওই সময়ে আসরে নেমে জোট গঠন করে বিজেপি সরকার গঠন করেন নীতিন গডকড়ি। গোয়াতে বিজেপির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মুখ ছিলেন মনোহর পারিকর।এবার পারিকরের মৃত্যুতে ফের গোয়াতে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে লড়াই শুরু হতে চলেছে। গত দু’দিনে দু’বার রাজ্যপালকে চিঠি তাদের সরকার গড়ার অনুমতি দেওয়ার আবেদন করেছে কংগ্রেস। সূত্র: আনন্দবাজার/এনডিটিভি

ad

পাঠকের মতামত