279655

ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হত্যাযজ্ঞ নিয়ে যা বলল সৌদি আরব

সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবায়ের বলেছেন, ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মুসলমানদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে সংহতি প্রকাশ করেছে বিশ্ব।শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের দুটি মসজিদে অস্ট্রেলিয়ার এক শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসীর হামলায় বিভিন্ন দেশের অর্ধশত মুসল্লি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে পাঁচ বাংলাদেশিও রয়েছেন।খুদে ব্লগ টুইটারে জুবায়ের বলেন, এতে পরিষ্কার হয়েছে, সন্ত্রাসের কোনো ধর্ম কিংবা বর্ণ নেই।তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ড হচ্ছে নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও সবার জন্য একটি উন্মুক্ত দেশ। নিউজিল্যান্ড সরকার ও জনগণ তা প্রমাণ করেছেন।

এর আগে এ হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।এদিকে ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে অর্ধশত মুসল্লিকে হত্যাকারী অস্ট্রেলিয়ার শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসীকে নজিরবিহীন সাজা দেয়া হবে, যাতে তিনি কখনও কারাগার থেকে বের হওয়ার আবেদন করতে না পারেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো সন্ত্রাসের অভিযোগ আনা হয়নি।

আইন বিশ্লেষকদের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন তথ্য দিয়েছে। ২৮ বছর বয়সী ওই অস্ট্রেলীয় সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে, যাতে তার যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে।নিউজিল্যান্ডে কেউ হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে সম্ভাব্য প্যারোলের আগে তাকে ন্যূনতম ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়ার আইন আছে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টেরেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ খুবই মারাত্মক। তাকে কঠোর সাজা দিতে পারেন বিচারক।দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটিতে ১৯৬১ সালে মৃত্যুদণ্ড আইন বাতিল করা হয়েছে।

ফৌজদারি আইনজীবী সিমন কুলেন বলেন, কোনো প্যারোল ছাড়াই তাকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হতে পারে। এমন সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। আর এমন সাজা দেয়া হলে তা হবে নজিরবিহীন।তিনি বলেন, এটি এমন একটি পরিস্থিতি, যাতে কঠোর সাজা দেয়াই হবে স্বাভাবিক।নিউজিল্যান্ডে হত্যাকাণ্ডের দায়ে এ পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘ সাজা দেয়া হয়েছে ২০০১ সালে। তিনটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উইলিয়াম বেল নামে এক অপরাধীকে ন্যূনতম ৩০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।

অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ বিল হজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডান এ ঘটনাকে সন্ত্রাসবাদী হত্যাকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করলেও এ জঙ্গির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা থেকে বিরত থাকতে পারেন কৌঁসুলিরা।

ad

পাঠকের মতামত