279501

মশার কয়েল ব্যবহার নিয়ে আসে ভয়ানক স্বাস্থ্যঝুঁকি!

বিদেশ থেকে আমদানি করা মশার কয়েলে মাত্রাতিরিক্ত এই ‘অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট’ ব্যবহার করা হচ্ছে। যা শুধুমাত্র মশা তাড়াতে কার্যকর, মারতে নয়। আর এটি তৈরি হচ্ছে অনুমোদনহীন বেশকিছু কারখানায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই ক্রেতারা এসব অননুমোদিত কয়েলের প্রতিই বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন এবং অজান্তেই কিনছেন ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি!

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, অননুমোদিত কয়েলে ‘অ্যাকটিভ ইনটিগ্রেডিয়েন্ট’ যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে ক্যান্সার, শ্বাসনালীতে প্রদাহসহ বিকলাঙ্গতার মতো ভয়াবহ রোগ হতে পারে। এমনকি গর্ভের শিশুও এর ক্ষতির শিকার হতে পারে। খাদ্যে ফরমালিন ও পানিতে আর্সেনিকের প্রভাব যেমন দীর্ঘমেয়াদী, তেমনি এসব কয়েলের বিষাক্ত উপাদান মানুষের শরীরে দীর্ঘমেয়াদি জটিল রোগের বাসা তৈরি করছে।

রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক বলেন, এ ধরণের রাসায়নিকের যথেচ্ছ ব্যবহার সব বয়েসী মানুষের জন্যই ক্ষতিকর। তবে শিশুদের উপর এটি দ্রুত প্রভাব বিস্তার করে। তিনি আরো বলেন, প্রতিনিয়ত এ ধরণের রাসায়নিকের সংস্পর্শ তাৎক্ষণিকভাবে নয়, সুদূরপ্রসারী ক্ষতি করে। জটিল রোগব্যাধি সৃষ্টি করে। বিশেষ করে শ্বাসতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে মারাত্মকভাবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মারাত্মক ক্ষতিকর কয়েল উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ২০/২২টি দেশিয় বেনামি কারখানা। ভুয়া পিএইচপি নম্বর ও বিএসটিআই’র লোগো ব্যবহার করে আকর্ষণীয় মোড়কে এসব কয়েল বাজারজাত করা হচ্ছে। অধ্যাদেশ অনুযায়ী অধিদপ্তরের অনুমোদন পাওয়ার পর পাবলিক হেলথ প্রোডাক্ট (পিএইচপি) নম্বর ও বিএসটিআই’র অনুমোদন নিয়েই সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে বালাইনাশক পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করতে হবে।

তবে বাস্তবে দেখা যায় ভিন্ন দৃশ্য। অনুমোদনহীন ব্যবসায়ীমহল কর্তৃক প্রস্তুত ও বাজারজাতকৃত কয়েলে শুধু মশাই নয়, বিভিন্ন পোকামাকড়, তেলাপোকা এমনকি টিকটিকি পর্যন্ত মারা যায়। এছাড়া উচ্চমাত্রার অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টে সম্পন্ন চায়না কয়েল বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে। দেশের বাজারে এসব কয়েল সয়লাব হলেও এর বিপরীতে সংশ্লিষ্টদের কোনো ধরনের নিয়ন্ত্রণ নেই বলে অভিযোগ অনুমোদিত দেশীয় কোম্পানিগুলোর।

ad

পাঠকের মতামত