277673

রাত নয়টা, গোপনে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন প্রেমিক

নিউজ ডেস্ক।। রাত নয়টা। গোপনে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন প্রেমিক। অপরিচিত কেউ ঘরে ঢুকেছে অনুমান করে ‘চোর চোর’ বলে চিৎকার করেন মেয়ের মা। পালানোর চেষ্টা করেও পারেননি প্রেমিক। হাতেনাতে ধরা। ডাকা হলো কাজি। ‘মিয়া-বিবি’ও রাজি। রাত ১২টায় বিয়ে। এলাকাবাসী জানায়, বাঘা উপজেলার জোতনশি গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে সেনা সদস্য মাসুদ রানা (২৪) ও পৌর এলাকার নারায়ণপুর গ্রামের ইব্রাহিম হোসেনের মেয়ে সাদিয়া সম্পার (১৯) মধ্যে প্রেম চলছিল। গত বুধবার রাত নয়টার দিকে সাদিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যান মাসুদ। এ সময় সাদিয়ার মা টের পেলে মাসুদ জানালা (গ্রিলবিহীন) দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে।

পালানোর সময় সাদিয়ার মা ‘চোর চোর’ বলে চিৎকার দিলে গ্রামবাসী মাসুদকে ধরে ফেলে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে ৫ লাখ ১ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে রাত বারোটায় তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। সাদিয়া বাঘা শাহদৌলা সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। বাঘা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জুবান মালিথা বলেন, এলাকাবাসী আপত্তিকর অবস্থায় তাদের হাতেনাতে আটক করে।

দুজনেরই বিয়ের বয়স হয়েছে। বিয়েতে তাদের সম্মতিও ছিল। তাই উভয়পক্ষের অভিভাবককে ডেকে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাদিয়ার নানার বাড়ি মাসুদদের বাড়ির পাশে। সেই সুবাদে তারা দুজনই পূর্বপরিচিত। বুধবার রাতে মাসুদ দেখা করতে সাদিয়ার বাড়িতে যান। এ সময় মেয়েপক্ষের লোকজন কৌশলে মাসুদকে আটকে রেখে বিয়ে পড়িয়ে দেন। বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিন আলী বলেন, ঘটনাটি জানার পর ফোর্সসহ দুজন এসআইকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। ওই প্রেমিক যুগল প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় গ্রামবাসী ও দুই পরিবারের অভিভাবকের সিদ্ধান্তে তাদের বিয়ে হয়।

ad

পাঠকের মতামত