277450

বিনাযুদ্ধে শাহজালাল (রহঃ) এর সিলেট বিজয়ের বিস্ময়কর কাহিনী!

সিলেটের নাম তখন শ্রীহট্ট। অধিকাংশ নাগরিকই হিন্দু ধর্মের অনুসারী। সেসময় এই শ্রীহট্টের রাজা ছিলেন গৌড় গোবিন্দ। গৌড় গোবিন্দ ছিলেন কট্টর হিন্দু ও অত্যাচারী শাসক। অন্য ধর্মের প্রতি ছিলেন চরম অসহিষ্ণু। বাংলার অনেক জায়গাতে ইসলামের প্রসার হলেও গৌড় গোবিন্দের কারনে সিলেট অঞ্চলে তখনো অতি অল্প কিছু নাগরিক ছিল মুসলিম। এরমধ্যে ছিলেন শেখ বুরহান উদ্দিন নামে একজন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত ধার্মিক। কিন্তু তার কোন সন্তান হচ্ছিল না। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতেন একটা সন্তানের জন্য। মানত করেছিলেন সন্তান হলে আল্লাহর উদ্দেশ্যে গরু জবাই দিয়ে প্রতিবেশীদের খাওয়াবেন। একসময় তাঁর প্রার্থনা কবুল হল। বুরহান উদ্দিনের ঘরে জন্ম নিল এক পুত্র সন্তান। মানত অনুযায়ী এবার গরু কুরবানি দেয়ার পালা। কিন্তু কট্টর হিন্দু রাজা গৌড় গোবিন্দের এলাকায় গরু জবাই করা নিষিদ্ধ। তবুও আল্লাহর কাছে মানত করেছেন (অন্যমতে আকিকা উপলক্ষে গরু জবাই দিয়েছিলেন), দীর্ঘ আকাঙ্খিত সন্তান পেয়েছেন তাই গোপনে গরু কুরবানি দিয়েই ফেললো বুরহান উদ্দিন।

কিন্তু সেটা গোপন থাকলো না। এই কথা চলে গেল গৌড় গোবিন্দের কানে। কথিত আছে কোন এক কাকের মুখ থেকে এক টুকরো মাংস গৌড় গোবিন্দের রাজ প্রাসাদে পড়ে যায়। এবং এখান থেকেই গরু জবাই হওয়ার কথা প্রকাশ পায়। গৌড় গোবিন্দ তল্লাশি করে বের করলেন গরু জবাই করা ব্যক্তিকে। গ্রেফতার করলেন বুরহান উদ্দিনকে। গরু জবাই নিষিদ্ধ থাকার পরেও কোন সাহসে সে একাজ করলো জানতে চাইলে বুরহান উদ্দিন জানালো তার সন্তান ও মানত বিষয়ক (বা আকিকা) কারন। সন্তানের জন্য গরু জবাই করা হয়েছে শুনে নিষ্ঠুর রাজা গৌড় গোবিন্দ বুরহান উদ্দিনের শিশু সন্তানকে এনে হত্যা করলেন। যে হাত দিয়ে বুরহান উদ্দিন গরু জবাই করেছেন সে হাত কেটে দিলেন।

শোকার্ত ও ক্ষুব্ধ বুরহান উদ্দিন গেলেন বাংলার তৎকালীন শাসক শামস উদ্দীন ফিরোজ শাহের নিকট। জানালেন এই নিষ্ঠুরতার কথা এবং শোনালেন গৌড় গোবিন্ধের অত্যাচার, নির্যাতন ও ইসলাম বিদ্বেষের কথা। ফিরোজ শাহ সব শুনে তাঁর ভাগ্নে সিকান্দর গাজীর নেতৃত্বে সৈন্যবাহিনী প্রেরণ করেন গৌড় গোবিন্দকে পরাজিত করে সিলেটের নিয়ন্ত্রণ নিতে। (বুঝার সুবিধার্থে শ্রীহট্ট না লিখে লেখায় সিলেট শব্দটিই ব্যবহার করা হচ্ছে)

গৌড় গোবিন্দ ছিলেন যাদুবিদ্যায় পারদর্শী। যাদুবিদ্যা দিয়ে শত্রুপুক্ষকে ঘায়েল করে দিতেন তিনি। গৌড় গোবিন্ধ তার যাদুবিদ্যা দিয়ে তাদের উপর অগ্নিবান নিক্ষেপ করেন। কোনভাবেই কুলিয়ে উঠতে পারছিল না মুসলিম সৈন্যরা। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হল সিকান্দার গাজীর বাহিনীর। অভিযানে ব্যর্থ হয়ে পিছু হটলেন সিকান্দার গাজী। ফিরে এসে জানালেন গৌড় গোবিন্দের যাদুশক্তির কথা। স্বাভাবিক যুদ্ধের পথে তাকে পরাজিত করা যাবে না। অলৌকিক শক্তি দিয়েই তাকে পরাজিত করতে হবে। মনঃকষ্ট নিয়ে বুরহান উদ্দিন চলে গেলেন দিল্লী।

গৌড়গোবিন্দের ইসলাম বিদ্বেষ, বুরহান উদ্দিনের সন্তান হত্যা ও সিকান্দার গাজীর অভিযানের ব্যর্থতার কথা জানতে পারেন দিল্লীর সুলতান আলাউদ্দিন খিলজী। শুনে ক্ষুব্দ হয়ে শক্তিশালী বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। কিন্তু শ্রীহট্ট সিলেট এর চারপাশে নদী থাকায় এবং সে নদীর উপর গৌড় গোবিন্দের নিয়ন্ত্রণ ও তার কালো যাদুবিদ্যার কথা স্মরণ করিয়ে দেয় আলেমরা। সাধারণ কোন সেনাপতির নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে লাভ হবে না, পাঠাতে হবে অত্যন্ত ঈমানদার ও আধ্যাত্মিক শক্তিসম্পন্ন কারো নেতৃত্বে! কিন্তু এমন কে আছে? কোথায় পাওয়া যাবে এমন সেনাপতি? কিছুদিনের মধ্যেই পাওয়া গেল এমন একজনকে। এবং সুলতানের বাহিনীর মধ্যেই।

একরাতে প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টিতে দিল্লী প্লাবিত হয়ে গেল, ব্যপক্ক ক্ষয়ক্ষতি হল, অন্ধকারে ঢেকে গেল পুরো নগরী। কোথাও কোন প্রদীপ জ্বালানোর উপায় নেই। কিন্তু ব্যতিক্রম হিসেবে দেখা গেল একটি তাঁবু। সেখানে আলো জ্বলছে। সবাই অবাক হয়ে সেখানে পৌঁছে দেখলো একজন সৈনিক একাগ্রচিত্তে কুরআন তেলাওয়াত করছেন। এই ঝড়বৃষ্টির মধ্যেও তাঁর ঘরে আলো জ্বলতে দেখে এবং কোনরকম উৎকণ্ঠা না দেখিয়ে একাগ্রচিত্তে কুরআন তেলাওয়াত করা দেখে সকলেই তাঁর ঈমানদারিতে অভিভূত হয়ে গেল। সুলতান আলাউদ্দিন খিলজির কানে সংবাদ পৌছে গেল। সুলতান নিজ চোখে এসে দেখলেন। এ যে তার বাহিনীর একজন সাধারণ সৈনিক, সৈয়দ নাসির উদ্দিন। আলেমরা পরামর্শ দিলেন সৈয়দ নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করতে। এতে রাজা গোবিন্দের যাদু বিদ্যার মোকাবেলা করে শ্রীহট্ট জয় করা সম্ভব হতে পারে। সুলতান সম্মতি দিলেন। সৈয়দ নাসির উদ্দীনকে সেনাপতির দায়িত্ব দিয়ে অভিযানে পাঠালেন।

এদিকে বুরহান উদ্দীন দিল্লীতে নিজামউদ্দিন (রহঃ) এর দরবারে উপস্থিত হয়েছেন। একইসময় দিল্লীতে পৌছেছেন শাহজালাল (রহঃ)। নিজামউদ্দিন (রহঃ) এর মাধ্যমে বুরহান উদ্দিন জানতে পারলে শাহজালাল (রঃ) এর জ্ঞান ও ইবাদতের গভীরতা ও আধ্যাত্বিক শক্তির কথা। বুরহান উদ্দীন নিজের কাহিনী তাঁর নিকট বর্ণনা করেন। শাহজালাল (রহঃ) সিলেটে আসার সিদ্ধান্ত নিলেন। নিজামউদ্দীন (রহঃ) একজোড়া কবুতর ভালোবাসার নিদর্শন স্বরুপ উপহার দেন। কবুতর জোড়া তিনি পোষা পাখির মত পুষতে লাগলেন। পরবর্তীতে জালালি কবুতর হিসেবে প্রসিদ্দ এ কবুতর সিলেটের বহু গৃহস্থেরর বাড়ীতে দেখা যায়। স্বল্পদিনেই এ কবুতর সংখ্যায় বহু হয়ে যায়। এদের খাওয়া হয় না। এখনো সিলেটে শাহজালাল (রহঃ) এর মাজারে অসংখ্য জালালি কবুতর রয়েছে।

ইয়েমেন থেকে ১২ জন সঙ্গীসহ রওনা করলেও পথে পথে তার আধ্যাত্নিকতায় মুগ্ধ হয়ে অনেকেই শিষ্যত্ব গ্রহণ করে তাঁর সঙ্গী হয়েছেন। সংখ্যাটা তখন ২৪০ জন। এই ২৪০ জন অনুসারী নিয়ে তিনি সিলেট এ আসার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলেন।আলাউদ্দিন খিলজির প্রেরিত সেনাপতি সৈয়দ নাসিরউদ্দিন এর সাথে দেখা হল শাহজালাল (রহঃ) এর। শাহজালাল (রহঃ) সম্পর্কে জেনে ও দেখে তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করলেন নাসিরউদ্দিন। সৈয়দ নাসির উদ্দীনের অধীনের এক হাজার অশ্বারোহী ও তিন হাজার পদাতিক সৈন্যসহ শাহজালাল (রহঃ) নিজ সঙ্গীদের নিয়ে সোনারগাঁ এর উদ্দেশ্যে রওনা হলেন।

সোনারগাঁ এসে সিকান্দর গাজীর সাথে সাক্ষাৎ করলেন। সিকান্দার গাজী সিলেট ও রাজা গোবিন্দ সম্পর্কে অবহিত করলেন তাঁদেরকে। সকলে মিলে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। শাহজালাল (রহঃ) এর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সিকান্দার গাজী নিজেও শিষ্যত্ব গ্রহণ করলেন। এভাবে পথে পথে অনুসারীর সংখ্যা বাড়তে বাড়তে সিলেটে পৌছানোর আগ পর্যন্ত ৩৬০ জনে পৌছালো।

মুসলিম বাহিনীর অভিযানে অগ্রসর হওয়ার খবর পেয়ে রাজা গোবিন্দ ব্রক্ষ্মপুত্র নদীতে সকল প্রকার নৌকা চলাচল বন্ধ করে দিলেন। তবুও শাহজালাল (রহঃ) তার অনুসারী ও অনুগত বাহিনীকে নিয়ে নদী পার হয়ে অগ্রসর হলেন। কিভাবে নদী পার হলেন সেটা স্পষ্ট জানা যায় না। নিজেরা নৌকা নিয়ে এসেছিলেন কিনা নিশ্চিত নয়। তবে প্রচলিত আছে এবং পরে শাহজালাল (রহঃ) এর ভক্তদের মতে তাঁরা সবাই জায়নামাজে চড়ে নদী পাড় হয়েছিলেন।

শাহজালাল (রহঃ) তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদী পার হয়ে রাজা গোবিন্দের গৌড় রাজ্যের দক্ষিণ সীমা নবীগঞ্জের দিনারপুর পরগণায় উপস্থিত হলেন। গোবিন্দের সৈন্যরা তীর দিয়ে আক্রমণ করলেও কোনরকম ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই শাহজালাল (রহঃ) সামনে অগ্রসর হতে সক্ষম হন। খবর পেয়ে গোবিন্দ এবার সুরমা নদীতেও নৌকা চলাচল বন্ধ করে দেয়, সেখানকার সকল নৌকায় আগুন দিয়ে ধ্বংস করে দেয়। খরস্রোতা সুরমা নদী পার হতে সক্ষম হবে না বলেই ধারনা ছিল গোবিন্দের। আর অস্ত্র হিসেবে তো তার যাদুবিদ্যা আছেই।

শাহ জালাল (রহঃ) পূর্বের মতো জায়নামাজের সাহায্যে বরাক নদী পার হন। এ বিষয়ে প্রাচীন গ্রন্থ তোয়ারিখে জালালীতে উল্লেখ আছেঃ চৌকি নামে ছিল যেই পরগণা দিনারপুর-ছিলটের হর্দ্দ ছিল সাবেক মসুর-সেখানে আসিয়া-তিনি পৌছিলা যখন-খবর পাইলা রাজা গৌবিন্দ তখন ।-এপারে হজরত তার লস্কর সহিতে-আসিয়া পৌছিলা-এক নদীর পারেতে-বরাক নামে নদী ছিল যে মসুর-যাহার নিকট গ্রাম নাম বাহাদুরপুর।-যখন পৌছিলা তিনি নদীর কেনার-নৌকা বিনা সে নদীও হইলেন পার। [উত্তর-পূর্ব ভারতের বরাক নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করার সময় সুরমা ও কুশিয়ারা নামে দুই নদীতে বিভক্ত হয়ে যায়]

গোবিন্দের যাদুমন্ত্রও বিফলে যেতে থাকলো। শাহজালাল (রহঃ) এর বাহিনীর উপর গোবিন্দের যাদুমন্ত্র ব্যর্থ হতে থাকলো। ফলে সবরকম কৌশল যখন বিফল হয়ে গেল তখন শেষ চেষ্টা হিসেবে রাজা গোবিন্দ এক বিশালাকার লৌহধনুক যাদুমন্ত্র করে দিয়ে শাহজালালের (রহঃ) কাছে পাঠায়; এবং শর্ত দেয় কেউ যদি একা উক্ত ধনুকের সাহায্যে তীর মারতে পারে তাহলে গোবিন্দ রাজ্য ছেড়ে চলে যাবে।

শাহজালাল (রহঃ) তাঁর দলের লোকদের উদ্দেশ্যে বললেন, যে ব্যক্তি কখনও ফজরের নামাজ কাজা করেনি বা বাদ দেয়নি একমাত্র সেই পারবে এই বিশাল লৌহ ধনুক দিয়ে একা তীর মারতে। পাওয়া গেল সৈয়দ নাসির উদ্দীনকে। নাসির উদ্দিন সফল হলেন। রাজা গোবিন্দ গোপনে রাজ্য ছেড়ে চলে গেল। ১৩০৩ সালে প্রায় বিনাযুদ্ধে সিলেট জয় করলেন হযরত শাহজালাল। কিছুক্ষণ পর সিলেটে প্রথমবারের মত ধ্বনিত হল আযানের সুর।

তিনি তার শিষ্য সিকান্দার শাহকে রাজ্য পরিচালনা ও শাসনভার এর দায়িত্ব দিয়ে নিজে ধর্মের খেদমতে আত্ন নিয়োগ করলেন। সিকান্দার শাহ প্রথমেই জায়গার নাম ‘শ্রীহট্ট’ থেকে ‘ জালালাবাদ ‘ রাখলেন। জালালাবাদে মাদ্রাসা, মক্তব, প্রজাদের যাতায়াতের রাস্তাঘাট, বিশ্রামাগার ও বিশুদ্ধ পানির জন্য নলকূপ স্থাপন করা হলো। হযরত শাহ জালাল (রহঃ) যখন ইসলাম প্রচারের জন্য যাত্রা শুরু করেন তখন তার সহচর ছিল মাত্র বারোজন। সিলেটে প্রবেশের সময় যে সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৬০ জনে। বাংলাদেশে ইসলাম প্রসারে এই ৩৬০ জনের অবদান অনস্বীকার্য।

শাহজালাল (রহঃ) এর আধ্যাত্নিকতা, কারামত, উদারতায় মুগ্ধ হয়ে এ অঞ্চলের লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ শুরু করলো। প্রায় সারাবছরই তিনি রোজা থাকতেন। আহার করতে খুবই সামান্য। বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা সফরে বের হতেন ধর্ম প্রচারে। সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম ও অবিশ্রান্ত সাধনার ফলে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়লেন। হঠাৎ স্বাস্থের অবনতির ফলে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন তার প্রতি অর্পিত আল্লাহর দায়িত্বের হয়ত পরিসমাপ্তি ঘটেছে। তিনি তাঁর সকল শিষ্যগণকে ডেকে পাঠালেন। সকলকে ইসলামের সুমহান আদর্শের প্রতি অবিচল থাকতে ও প্রচার করার পুনঃনির্দেশ দিয়ে সৈয়দ নাসির উদ্দিনের উপর সকল খরিফাগণের তদারকের দায়িত্ব অর্পণ করে যান।

৭৪০ হিজরি সনের (১৩৪৬ খ্রিস্টাব্দ) জিলহজ্জ মাসের ২০ তারিখ, শুক্রবার। হযরত শাহ জালাল (রহঃ) এর শরীর খুবই খারাপ। পূর্বদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তিনি সারাদিন আগত খলিফা, মুরীদ ও ভক্তবৃন্দসহ সাধারন দর্শককে শেষবারের মত দেখা দিলেন। নিজ গৃহে প্রবেশের পূর্বে তার খাদেমকে বললেন কেউ যাতে তার গৃহে প্রবেশ না করে। তিনি রাতের প্রথোমার্ধে জিকির করলেন হঠাৎ তার আওয়াজ ক্ষীণ হয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই পূর্বের আকাশে আলোর রেখা ছড়িয়ে পড়ল, মসজিদের মিনার হতে আজানের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠল জনপদ। কিন্তু এ কি! এ কি ব্যতিক্রম!! হযরত শাহ জালাল (রহঃ) নিদ্রা হতে উঠছেন না। খাদেম ধীরে ধীরে দরজা ফাঁক করে দেখলেন হুজুর বসা নেই, চীৎ ভাবে শায়িত। ইহকালের জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে গেলেন হযরত শাহজালাল (রহঃ)।তথ্যসূত্র: সংগৃহীত

ad

পাঠকের মতামত