276459

রিয়ালে ফিরেই মার্সেলোর পথ আটকালেন জিদান!

স্পোর্টস ডেস্ক।। ৯ মাস পর আবারও রিয়াল মাদ্রিদের কোচের দায়িত্বে ফিরেছেন জিনেদিন জিদান। ব্যর্থতার দায়ে গতকাল সোমবার রাতে কোচের পদ থেকে সান্তিয়াগো সোলারিকে বরখাস্ত করেছে রিয়াল। তার পরিবর্তে নতুন কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে জিদানকে। রিয়ালের কোচের দায়িত্বে ফিরেই জিদান পথ আটকালেন মার্সেলোর। ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারকে কোথাও যেতে দেবেন না তিনি।

রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে মার্সেলো জুভেন্টাসে যোগ দিতে যাচ্ছেন বলেই খবর। বার্ষিক ১২ মিলিয়ন ইউরো বেতনে ইতালিয়ান ক্লাবটির সঙ্গে কথাবার্তা নাকি চূড়ান্তও করে ফেলেছেন। এখন শুধু অপেক্ষা আনুষ্ঠানিক চুক্তির। কিন্তু সেই অপেক্ষার সেই পথটাতেই বাধা হয়ে দাঁড়ালেন জিদান। বন্ধ করে দিলেন মার্সেলোর বেরোনোর দরজা। মার্সেলোর পথে জিদানের বাধা হয়ে দাড়ানোর খবরটি আবার দিয়েছে ব্রাজিলিয়ান পত্রিকা ‘এ বোলা’।

পত্রিকাটির দাবি—কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর জিদান প্রথম যে কাজটা করেছেন, সেটি হলো মার্সেলোর বিষয়ে রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনোর সঙ্গে কথা বলা। জিদান নাকি পেরেজকে স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, মার্সেলোকে কোথাও যেতে দেওয়া যাবে না। রেখে দিতে হবে রিয়ালেই।

সেই ২০০৭ সালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্স ছেড়ে রিয়ালে যোগ দেন মার্সেলো। সেই থেকেই মাদ্রিদের এই ক্লাবটিই ব্রাজিলিয়ান এই তারকার ঘরবাড়ি। কোচ হিসেবে প্রথম মেয়াদে জিদানের অন্যতম প্রিয় শিষ্য ছিলেন এই মার্সেলো। ৩০ বছর বয়সী মার্সেলোর সঙ্গে ৪৬ বছর বয়সী জিদানের বোঝাপড়াটাও ভালো। বয়সে পার্থক্য থাকলেও দুজনের মধ্যে দারুণ অন্তরঙ্গতা।

সেই সম্পর্কের খাতিরেই মার্সেলোর পথ আটকানোর পরিকল্পনা জিদানের। সম্ভবত প্রিয় কোচ ফেরায় মার্সেলো নিজেও খুব খুব খুশি। হয়তো জুভেন্টাসে যাওয়ার পরিকল্পনা বাদ দিয়ে তিনিও এখন রিয়ালে থেকে যাওয়ার কথাই ভাবতে শুরু করেছেন।

হ্যাঁ, জিদানের কথা রাখতে হলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে মার্সেলোকেই। কারণ, নিজ দলের সমর্থকদের দুয়োয় তিতিবিরক্ত হয়ে রিয়াল ছাড়ার ইচ্ছাটা প্রথম প্রকাশ করেন তিনিই। তিনিই প্রথমে রিয়াল সভাপতির কাছে অনুরোধ করেন তাকে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য। ক্লাব রিয়ালও তার সেই অনুরোধে সায় দিয়েছিল। সেই সুযোগেই মার্সেলোর সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলে জুভেন্টাস।

কিন্তু জিদান দায়িত্ব নিয়ে সব পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিলেন। আর জিদান যেহেতু বলেছেন, কোথা যেতে দেওয়া হবে না, তাতে ধরেই নেওয়া যায়, মার্সেলোর যাওয়া হচ্ছে না। কারণ, জিদানের কথা যে রিয়াল সভাপতি ফেলতে পারবেন না সেটি অনুমিতই। আর মার্সেলো নিজেও যে প্রিয় কোচের সঙ্গেই থাকতে চাইবেন, সেটিও স্পষ্ট। যার অর্থ, জুভেন্টাসে প্রিয় বন্ধু ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে মার্সেলোর পুনর্মিলনীর যে সম্ভাবনা রেখা ফুটেছিল, তা ভেস্তে গেল! পরিবর্তন।

ad

পাঠকের মতামত