275508

সাপের বিষের প্রতিষেধক কমলায়!

কমলালেবু থেকে সাপের বিষের প্রতিষেধক আবিষ্কার করেছেন ভারতের এক গবেষক। কমলালেবুর মধ্যে রয়েছে হেসপেরেটিন নামে একটি উপাদান। আর সেটিকে কাজে লাগিয়ে অ্যান্টিভেনাম সিরাম বা এভিসের সঙ্গে সংযোগ ঘটিয়ে তৈরি হয় প্রতিষেধক।গেছোবোড়া বা চন্দ্রবোড়া প্রজাতির সাপের দংশন থেকে মানুষকে বাঁচাত পারবে এই প্রতিষেধক- এমনটাই দাবি ওই গবেষকের। প্রতিষেধকটির আবিষ্কারক অধ্যাপক শুভময় পান্ডা। তিনি জানান, চন্দ্রবোড়া, গেছোবোড়া বা বাঁশবোড়া, গোখরো সাপের বিষ হিমোটক্সিন প্রকৃতির, যা দংশন করলে মানবদেহের টিস্যুগুলোকে দ্রুত ধ্বংস করে দেয়। রক্ত থকথকে জেলির মতো হয়ে যায়। কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গিয়ে ক্ষতস্থানে পচন শুরু হয়।

ফলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে এভিএস ইঞ্জেকশন দিলেও তা অধিকাংশ সময়ে খুব একটা কার্যকর হয় না। তবে কমলালেবু থেকে তৈরি নতুন এ প্রতিষেধক এ ক্ষেত্রে কাজ করতে সক্ষম। অধ্যাপক শুভময় দাবি করেছেন, গবেষণা করে এভিএস তৈরি হলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন। ভারতে প্রতিবছর বহু মানুষ সাপের দংশনে মৃত্যুবরণ করে। চন্দ্রবোড়া ও গোখরোর বিষেই প্রধানত এ মৃত্যুর সংখ্যা বেশি।

বাংলায় এদের গেছোবোড়া বা বাঁশবোড়া বলা হয়। বোড়া প্রজাতির সাপের বিষের চরিত্র একই রকম। এই সাপের বিষে সিরিন প্রোটিএইচ নামে রাসায়নিক থাকে। সিরিন প্রোটিএইচের প্রতিষেধক কমলালেবুর মধ্যে থাকা হেসপেরোটিন। এটা ডকিং পদ্ধতিতে সাপের বিষের রাসায়নিকটিকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে।

ad

পাঠকের মতামত