274724

ছেলের বন্ধুর সঙ্গে প্রেম টেকাতে ছেলেকে খুন!

ডেস্ক রিপোর্ট।। ছেলের বন্ধুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মধ্য বয়সী ওই বিধবার। ঘটনাটি জেনে গেলে প্রেমিকের সহযোগিতায় ‘পথের কাঁটা’ ছেলেকে খুন করেন তিনি। এমনকি ছেলেকে খুনের পর নিজেই মামলা করেন। হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, রোমহর্ষক এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ঝাজ্জার জেলায়। বৃহস্পতিবার ৪৪ বছর বয়সী ওই নারীকে ছেলে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নিহত পারমোদ (২৩) গুরুগ্রামে একটি প্রতিষ্ঠানে প্রহরীর কাজ করতেন। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ঝাজ্জার জেলায় চামানপুরা গ্রামে নিজ বাড়িতে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

ওই ঘটনায় পারমোদের মায়ের দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, গুরুগ্রামে কাজ করার সময় পারমোদের সঙ্গে প্রদীপের (২৩) বন্ধুত্ব হয়। পেশায় প্রহরী প্রদীপের বাড়িও ঝাজ্জার জেলার পার্শ্ববর্তী গ্রামে। বন্ধুত্বের সূত্র ধরে প্রদীপ প্রায়শই পারমোদদের বাসায় যেতেন। এরই মধ্যে তার বিধবা মা মীনা দেবীর সঙ্গে প্রদীপের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পুলিশ জানায়, গত মাসে পারমোদ চাকরি ছেড়ে দেন এবং বাসায় থাকতে শুরু করেন। তখন মায়ের সঙ্গে প্রদীপের সম্পর্কের বিষয়ে সন্দেহ হলে তাকে তাদের বাসায় আসতে নিষেধ করেন পারমোদ।

এতে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বন্ধ হয়ে যায় মীনা দেবীর। এরই একপর্যায়ে প্রদীপের সহযোগিতায় ছেলেকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। দুজনে মিলে প্রদীপের আরও দুই বন্ধুর সহযোগিতা নেন, যারা ওই রাতে নিজ বাড়িতে পারমোদকে গুলি করে হত্যা করে। পরদিন পুলিশ ডেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা করেন পারমোদের মা। তিনি আরও দাবি করেন, রাতে যখন তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই কেবল বিষয়টি জানতে পারেন।

পুলিশ জানায়, রহস্যজনক ঘটনাটি তখনই প্রকাশ্যে আসে, যখন বুধবার নিয়মিত তল্লাশির সময় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সৌরভ নামের ওই ব্যক্তি জিজ্ঞাসাবাদে অন্যান্য মামলার সঙ্গে পারমোদ হত্যকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টিও স্বীকার করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রদীপকে গ্রেপ্তার করলে তিনি তার অপরাধ স্বীকার করেন। এছাড়া মীনা দেবী এবং প্রদীপের বন্ধু মনুকেও গ্রেপ্তার করা হয়। সৌরভকেও এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত