273832

৬২ বছর ধরে বউয়ের ভয়ে বোবা-কালার অভিনয়!

ডেস্ক রিপোর্ট।। এক যে ছিল বর। তার ছিল এক বউ। থাকত ওয়াটারবেরিতে। ৬২ বছর ধরে বউ জানত বরটি বোবা ও কালা। বেচারা বউ-এর কথা বলার কেউ ছিল না। আর স্বামীটিও কথা শোনার বা বলার জায়গায় ছিলেন না। এভাবেই কেটে যেত। গেলেন বুড়ো হয়ে। একদিন আচমকাই বউ জানতে পারলেন সবটাই নাটক! বর তাঁর বোবাও নয়, কালাও নয়।

৬২ বছর ধরে বোবা আর কালা সেজে বসে আছেন বউ-এর কথা শুনতে হবে না বলে। রেগে কাঁই হয়ে বউ গেলেন আদালতে। দাবি ডিভোর্স। ব্যাপারটা অতিশয় ন্যায্য। বৃদ্ধের নাম বেরি ডওসন। বয়স ৮৪। আর বউয়ের নাম ডরোথি। এতগুলো বছরে একটা রা কাড়েননি বেরি ডওসন। উলটে কথা না-বলতে পারা বরের সঙ্গে কথোপকথন ছাড়াও কীভাবে ইঙ্গিতে-ইশারায় সবটা বোঝাতে হয়, তার সবটা শিখে নিয়েছিলেন স্ত্রী। তারপরেও তিনি দেখেছেন তাঁর বর সেভাবে সেই কমিউনিকেশনেও ঠিক সাড়া দেন না।

দম্পতিযুগলের ৬ জন সন্তান ও ১৩ জন নাতি-নাতনি রয়েছে। তাঁরাও সক্কলে জানতেন যে দাদু বোবা ও কালা। কিন্তু এই পুরো অভিনয়টা তিনি নাকি শুধু বাড়িতেই করতেন। এটা ধরাও পড়ত না, যদি না একটি ইউটিউব ভিডিয়োতে দেখা যেত তিনি একটি ইভেন্টে গান করছেন এবং একটি মিটিং-এ সবার সঙ্গেই কমিউনিকেট করছেন!

এবার তাঁর আইনজীবীর বক্তব্য হল, ভদ্রলোক আসলে শান্তশিষ্ট, আর তাঁর স্ত্রী বেশি মাত্রায় বাচাল। যদি এই পন্থা না-মেনে চলতেন, তা হলে তাঁর ফ্যামিলি পুরো ধসে যেত, কেন না ৬০ বছর আগেই তাঁদের ডিভোর্স ছিল অনিবার্য। এখন ‘নাই বা তাহার অর্থ হোক, নাই বা বুঝুক বেবাক লোক’— ঘটনাটা এমন হয়ে থাকলে একেবারেই ব্যাপারটা ‘ভাববার বিষয়’ বটে!

ad

পাঠকের মতামত