272165

কোরআন না বুঝেই বহুবিবাহের অনুশীলন করা হচ্ছে: মিশরের প্রধান ইমাম

ডেস্ক রিপোর্ট।। একজন মুসলমানের একাধিক বিয়ে করা নিয়ে মিশরের শীর্ষ ইসলামিক প্রতিষ্ঠান আল আজহারের প্রধান ইমাম ফতোয়া দিয়েছেন। শেখ আহমেদ আল-তাইয়েব নামের এই প্রধান ইমামকে দেশটির সুন্নী ইসলামের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সম্প্রতিক বিবিসি এই খবর প্রকাশ করে। শেখ আহমেদ আল-তাইয়েব তার ফতোয়ায় জানান, বহুবিবাহ করা বা বহুপত্নী রাখার বিষয়টি নারী এবং শিশুদের জন্য অবিচার হতে পারে। আর কোরআন সঠিকভাবে না বুঝে প্রায়ই এই বহুবিবাহের বিষয়টি অনুশীলন করা হয়।

তিনি তাঁর টেলিভিশনের সাপ্তাহিক এক আনুষ্ঠানে এই ফতোয়া দেন। এমনকি পরে টুইটার এ্যাকাউন্টেও একই বক্তব্য তুলে ধরেন। এই ফতোয়া দেয়ার পর দেশটিতে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। বিতর্কের ফলে মিশরের ‘আল আজহার’ ইসলামিক প্রতিষ্ঠানটি এক ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, প্রধান ইমাম বহুবিবাহের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেননি। তিনি বিবাহ নিয়ে ভুল অনুশীলনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। ব্যাপক বিতর্কের পরেও প্রধান ইমাম শেখ আহমেদ আল-তায়েব নিজ বক্তব্যের সমর্থনে বলেন, একটি বিবাহ করাই ছিল নিয়ম এবং বহু বিবাহ হচ্ছে ব্যতিক্রম।

প্রধান ইমাম আরো বলেছেন, যারা স্ত্রী থাকা সত্বেও বহুবিবাহের পক্ষে থাকেন বা সেটাকেই নিয়ম মনে করেন, তারা সকলেই ভুল। বিতর্কের জবাবে কোরআন থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে এই ইমাম বলেন, “একজন মুসলিম পুরুষ একাধিক স্ত্রী রাখতে পারেন। কিন্তু তাকে একাধিক স্ত্রীর প্রত্যেকের জন্য ন্যায্যতার শর্ত মেনে চলতে হবে। যদি সেই ন্যায্যতা না থাকে, তাহলে একাধিক স্ত্রী বা বহুবিবাহ নিষিদ্ধ।”

এছাড়া তিনি মনে করেন, একাধিক স্ত্রী রেখে ন্যায্যতা রাখা সম্ভব নয়। নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংস্কারের যে আন্দোলন, তাকে সমর্থন করেন মিশরের এই ইমাম। ইমাম তাঁর টুইটে বলেন, “সমাজের অর্ধেক নারী। ফলে তারাই সমাজের অর্ধেকের প্রতিনিধিত্ব করেন। আমরা যদি তাদের যত্ন বা সন্মান না করি, তাহলে এটি কেবল এক পায়ে হেঁটে যাওয়া।”  এদিকে প্রধান ইমামের বক্তব্যের ব্যাপারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মিশরে নারীদের জাতয়ি কাউন্সিল।

ad

পাঠকের মতামত